পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ১৩সেপ্টেম্বর আদিবাসী অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ছত্তীসগঢ়ের শ্যামগিরি অঞ্চলে কমপক্ষে ২০০০ বিক্ষোভকারী আদিবাসীর মিছিল আটকে তাদের মারধর করল নিরাপত্তা বাহিনী। বেশ কয়েকজন আদিবাসীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আটকদের পরিবারকে তথ্য জানাচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ যেখানে মিছিল আটকায়, সেখানেই সভা করেন আদিবাসীরা। স্থানীয়দের দাবি, নকশাল যোগাযোগ রয়েছে এই অভিযোগে নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশ আদিবাসীদের ধরে নিয়ে যায়। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে আটকদের দীর্ঘদিন জেলখানায় বন্দি করে রাখা হতে পারে। কতজনকে আটক করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয় তবে স্থানীয়দের অনুমান সংখ্যাটি শতাধিক হতে পারে।
রাজনৈতিক কর্মী ছোটু ভাই ভাসভা এই ঘটনার জন্য ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “শ্যামগিরিতে কংগ্রেস সরকারের আসল চেহারাটি সামনে এসেছে। সাংবিধানিক অধিকারের দাবিতে আয়োজিত জনসভায় পুলিশি হস্তক্ষেপ সেদিকেই ইঙ্গিত করে। এর আগে বেশ কিছু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জেরে শতাধিক আদিবাসীকে ফাঁসানো হয়েছে। এক্ষেত্রেও তেমনই হওয়ার সম্ভাবনা।”
বিশিষ্ট আদিবাসী গণ আন্দোলন কর্মী সোনি সোরি জানিয়েছেন, “পুলিশ শিবিরগুলি এই অঞ্চলে আরও সামরিকীকরণের দিকে যাচ্ছে, তার জেরেই আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “গ্রামবাসীরা থানার সামরিকীকরণের পরিবর্তে এলাকায় স্কুল, হাসপাতাল এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি চায়।”
এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, “…ওইদিন আইন ও পঞ্চম তফসিল অনুসরণ করে সংবিধান রক্ষা এবং আদিবাসীদের উপর ইউএপিএ (অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতায় আদিবাসীরা কর্মসূচি নিয়েছিল। ” নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মী আরো বলেছেন, “আমরা নকশাল তকমা দিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় জেলে বন্দি করে রাখা আদিবাসীদের মুক্তি চেয়েছিলাম। এই দাবি কি অবৈধ? নিরস্ত্র আদিবাসীদের হত্যা করা সঠিক?”