পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে প্রতিবছর ১ মে শ্রমিক ইউনিয়নগুলির নেতৃত্বে মিছিল ও সমাবেশ হয়। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। এ বছরের প্রতিবাদগুলিতে যুক্ত হয়েছিল অতিমারিজনিত দুর্দশার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। সেই লড়াইয়ের রিপোর্ট দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে আসতে কিছুটা সময় লেগেছে। আমরা তার কয়েকটি প্রকাশ করলাম।
মে দিবসে অনুমতি না নিয়ে সভা ও মিছিল করার জন্য তরস্কের পুলিশ রাজধানী ইস্তাম্বুলে ২০০-রও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করে। যে সব দেশে মে দিবসের প্রতিবাদ মিছিল হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল, তার মধ্যে ছিল তুরস্কও।ইস্তাম্বুলের গভর্নরের কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে ২১২জন মিছিল থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদের প্রতীকী অঞ্চল তাকসিম স্কোয়ারে ঢোকার চেষ্টা করার পরে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের জেরে কমপক্ষে ৪৬জনকে গ্রেফতার করা হয়। সে দেশে বেকারত্বের জন্য প্রাপ্য সুবিধাগুলি সরকার কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, বিক্ষোভকারীরা তার বিরোধিতা করছিলেন।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে, কিছু বিক্ষোভকারী ডিম ছুঁড়ে মারে, পুলিশ তাদের জল কামান, পেপার স্প্রে এবং লাঠি ব্যবহার করে সরিয়ে দেয়।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডে পুলিশকে বিক্ষোভ রোধে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার জন্য একটি নতুন আইন তৈরির প্রস্তাব করেছে সরকার। লন্ডনের ১মে-র বিক্ষোভ জুড়ে ছিল তার প্রতিবাদ।
এবারের মে দিবসে সবচেয়ে উত্তাল ছিল জার্মানি। কড়া কোভিড বিধির বিরোধিতা করে বার্লিন জুড়ে বিশাল পুঁজিবাদ বিরোধী মিছিল হয়ে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। গ্রেফতার হয় অনেকে।
রাজধানী জাকার্তা সহ ইন্দোনেশিয়ার বহু শহরে মে দিবসের মিছিল হয়। অতিমারির দুর্দশার বিরুদ্ধে শ্লোগান ছিল এই সব মিছিলের প্রধান বার্তা। বহু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় বিক্ষোভকারীদের।