পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ইথিওপিয়ার রাজধানী আদিস আবাবার পাশেই ওরোমিয়া প্রদেশ। ওরোমোরা ইথিওপিয়ার বিভিন্ন জাতিগুলির মধ্যে সংখ্যাগুরু। কিন্তু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বহুদিন ধরেই চলছে জাতিসত্তার লড়াই। সম্প্রতি সেই সংগ্রামের কণ্ঠস্বর হিসেবে উঠে আসেন গায়ক হাকালু হানদেসা। ২০১৮ সালের গণ বিক্ষোভের সময় তিনি বন্দিও হন। গত ২৯ জুন ৩৬ বছর বয়সি গায়ককে হত্যা করেছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী। তারপর থেকে ছদিন ধরে উত্তাল ওরোমিয়া প্রদেশ ও আদিস আবাবা। বিক্ষোভ দমাতে না পেরে গুলি করে ১৬৬ জন প্রতিবাদীকে হত্যা করেছে সে দেশের সরকার। গণবিক্ষোভে মারা গেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ১১ জন সদস্যও।
আরও পড়ুন: ফরাসি সাম্রাজ্যবাদ ও দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল গণ অভ্যুত্থান আফ্রিকার মালিতে
বেশ কিছুদিন এই খবর লুকিয়ে রাখার পর সম্প্রতি মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে ইথিওপিয়া সরকার। অন্যদিকে গায়ক হত্যার প্রতিবাদে গত ৪ জুলাই লন্ডনে ইথিওপিয়ার দূতাবাসে ঢুকে পড়েন ইথিওপিয়ানরা। দেশের পতাকা নামিয়ে ওরোমো পতাকা তুলে দেন সেখানে।
এই গণহত্যা কাণ্ডের প্রধান কারিগর সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি। তিনি গত বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৬৭ জন প্রতিবাদী গুরুতর জখম হয়েছেন। ১,০৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইথিওপিয়া সরকার দাবি করেছে ওরোমোর বিদ্রোহী গোষ্ঠীই হত্যা করেছে হাকালুকে। সেই অভিযোগে তারা নাকি ৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে। যদিও সেই পাঁচ জনের নাম জানানো হয়নি। কিন্তু এই হাস্যকর দাবি মানতে রাজি নয় জনগণ।