কর্মহীনতা, ক্ষুধা, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে চিলির জনগণের লড়াই চলছেই

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ২০১৯-এর শেষার্ধ জুড়ে গোটা দুনিয়ার সংগ্রামী মানুষের নজরের কেন্দ্রে ছিল চিলি। চলতি বছরের শুরুতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বিদ্রোহের আগুন একেবারে নেভেনি।
আরও পড়ুন: গায়ক খুনের প্রতিবাদে গণ বিক্ষোভ ইথিওপিয়ায়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে ১৬৬ জনের মৃত্যু, ভিডিও
করোনা মহামারি জনিত লকডাউনের জেরে প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনে স্তব্ধতা আসলেও গত মে মাস থেকে কর্মহীনতা, ক্ষুধার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল রয়েছেন চিলির জনতা।আন্দোলনের জেরে জুন, জুলাই, আগস্টে চিলির মানুষকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার। যদিও তা মিলবে মাত্র ৪০ শতাংশ গরিব মানুষের।

এর মধ্যে গত ২-৩ জুলাই সে দেশের বেশিরভাগ বড়ো শহর উত্তাল ছিল বিক্ষোভে। কর্মহীনতা, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, ফ্যাসিস্ট পিনেরা সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন জনগণ। রাজধানী সান্তিয়াগো ছিল সবচেয়ে অশান্ত। ব্যারিকেড বানিয়ে পুলিশের সঙ্গে লড়াই চালায় জনতা। গ্রেফতার হয় ১,০৭৬ জন। ২দিনের ঘোষিত কর্মসূচি হলে আন্দোলন চলে প্রায় ৫দিন। ২১ বছরের এক যুবককে গুলিও চালায় পুলিশ।

গত বছরে সংগ্রামের যে ঐতিহ্য তৈরি করেছেন চিলির জনগণ, তা চলতি বছরেও জারি থাকে কিনা, তা দেখতে আগ্রহী দুনিয়ার মানুষ।