Home খবর গুজরাটের নর্মদা জেলায় জমি অধিগ্রহণ ঘিরে আদিবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ, স্থগিত জমি ঘেরার কাজ
0

গুজরাটের নর্মদা জেলায় জমি অধিগ্রহণ ঘিরে আদিবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ, স্থগিত জমি ঘেরার কাজ

গুজরাটের নর্মদা জেলায় জমি অধিগ্রহণ ঘিরে আদিবাসী-পুলিশ সংঘর্ষ, স্থগিত জমি ঘেরার কাজ
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: গুজরাটের নর্মদা জেলায় স্থাপিত হয়েছে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি। যার গালভরা নাম স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। সেই মূর্তির চারদিকের ৬টি গ্রাম থেকে ৫০০০ অধিবাসীকে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করেছে গুজরাট সরকার। লক্ষ্য ওই এলাকায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেন্দ্র করে একটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা। সেজন্য মে মাসের শুরু থেকে ওই জমিগুলিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা শুরু হয়। ক্ষোভ বাড়তে থাকে আদিবাসীদের মধ্যে। ৫ জুন পুলিশ ও আদিবাসীদের সংঘর্ষ হয়। তার জেরে আপাতত বন্ধ রয়েছে পাঁচিল তোলার কাজ। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্দার সরোবর নর্মদা নিগম লিমিটেডের বক্তব্য, আদিবাসীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বুঝিয়ে কাজ শুরু হবে।

কিন্তু এটা হল, ঘটনা একদিকের বিবৃতি। অন্যদিক, মানে সরকার পক্ষ কী বলছে?

এসএসএনএনএলের দাবি, ওই জমি নাকি তারা নর্মদা বাঁধ তৈরির জন্য সেই ১৯৬০ সালেই অধিগ্রহণ করে রেখেছিল। দরকার পড়েনি, তাই আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়নি। এখন সেই সংক্রান্ত কাজের জন্যই জমির দরকার পড়েছে।

আদিবাসীরা অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, প্যাটেলের মূতির্ শুরু হওয়ার সময় থেকেই তাদের উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তারপর এক ব্যক্তি, ২০১৩ সালের নতুন আইনে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের দাবি জানিয়ে গুজরাট হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। মামলার জেরে উচ্ছেদে স্থগিতাদেরশ দিয়েছিল আদালত, তাই কাজ বন্ধ ছিল। মে মাসের শুরুতে আদালত মামলাটি বাতিল করে, তারপরই এসএসএনএনএল পুলিশের সাহায্য নিয়ে উচ্ছ্দের প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি। এমনকি পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে যারা থাকেন, তাদেরও বের করে দেওয়া হয়নি।

কিন্তু আদিবাসীরা তা মানতে নারাজ। তারা জীবিকা হারানোর আশঙ্কা করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো আদিবাসীদের আলাদা থাকার জায়গা করে দেওয়া হবে। তাদের বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য দোকান করে দেওয়া হবে।

সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আদিবাসীরা উচ্ছেদ হতে রাজি হন কিনা, সেটাই এখন দেখার।         

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *