ব্রাজিল
কমিউনিস্ট পার্টি অফ ব্রাজিলের ৯৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে গ্রাফিতি করা হয়। গ্রাফিতিতে লেখা হয় “পিসিবি ৯৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস দীর্ঘজীবী হোক! মাওবাদ জিন্দাবাদ! সংশোধনবাদ ধংস হোক!”
পারার রাজধানী বেলেম এ বিপ্লবী সংবাদপত্র “এ নোভা ডেমক্রাসিয়া (এএনডি)” তরফ থেকে কোভিড –১৯ এর প্রতিষেধক নেওয়ার লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রচার চালানো হয়। পত্রিকার সদস্যরা তাদের পুস্তিকা বিক্রিরি সাথে সাথে বোলসানারো ও তার সরকার ব্রাজিলের জনগণের বিরুদ্ধে কী কী অপরাধমূলক কাজ করেছেন তাও প্রচার করেন।
বেলেমের পার্শ্ববর্তী শহর আগুস ব্রাঙ্কাসে করোনার ভাক্সিনের দাবিতে এবং প্রেসিডেন্ট বোলসানারোর গণহত্যা নীতির বিরোধিতা করে পোষ্টার লাগানো হয়।
মেক্সিকো
অক্সাকা শহরে রেড ইন্টারন্যাশনাল অফ ইন্ডিজেনাস অক্সাকানস(আরআইআইও), পপুলার ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট(এফডিপি) ও কারেন্ট অফ পিপল রেড সান(সিপি-সোল রোজো) সদস্যরা যৌথভাবে জোর করে নতুন এক ব্যক্তিকে এটর্নি জেনারেল ঘোষণা করার বিরুদ্ধে জেনারেল প্রসিকিউটর অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ফ্রান্স
কায়েন শহরে দ্য রেভলিউশনারি ইউথ প্যারিস কমিউনের ১৫০ বছর কে স্মরণ করে ব্যানার লাগায় তাতে লেখা ছিল “প্যারিস কমিউনের লাল পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরুন! সর্বহারা শ্রেণির হাতে সমস্ত ক্ষমতা!” সাথে “ প্যারিস কমিউন জিন্দাবাদ! বুর্জোয়া রাষ্ট্র ধ্বংস কর! শ্রমিক শ্রেণির হাতে সমস্ত ক্ষমতা!” এই শ্লোগানও লেখা ছিল ব্যানারে ও দেওয়ালে।
আমেরিকা
অস্টিন: ইতিহাসের বিভিন্ন বিপ্লবী সাংবাদিকদের নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করে ‘ দ্য অস্টিন ট্রিবিউন অফ দ্য পিপল সাপোর্ট কমিটি’। সেখানে তারা রুশ বিপ্লবের নেতা হিসেবে লেনিনের কাজ সম্পর্কে ও ইশক্রা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা লেনিনকে নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে আরও দুজন বিপ্লবী সাংবাদিক সম্পর্কেও বলা হয়, ইডা বি. ওয়েলস এবং উলরিক মাইনহফ। ওয়েলস একজন সমাজ কর্মী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ সম্পর্কে নিজের তদন্তমূলক লেখাপত্র তিনি লড়াইয়ের কাজে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি নারীদের অধিকার নিয়েও লিখেছেন। মেইনহফ ছিলেন জার্মান কমিউনিস্ট পার্টি(কেডিপি)-র সশস্ত্র সৈনিক ও রেড আর্মি ফাক্সনের(আরএএফ) প্রতিষ্ঠাতা। ছাত্র, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় বিপ্লবী পত্রিকা কঙ্ক্রেটের চিফ এডিটর ছিলেন মাইনহফ।
অক্সনার্ড: দ্য অক্সনার্ড ট্রিবিউন সাপোর্ট কমিটি ‘’ট্রিবিউন অফ দ্য পিপলস ইয়ার-ইন-রিভিউ’ ভিডিও প্রদর্শন করেন। স্ক্রিনিং-এ যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে মাসিক পত্রিকার কপি বিক্রি করা হয়। স্ক্রিনিংযের আগে সহায়তা কমিটির সদস্যরা তাদের বণ্টন ব্যবস্থা এবং শ্রমিক শ্রেণির নিজেস্ব সংবাদ পরিষেবা থাকবার গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
কান্সাস সিটি: এখানেও আসন্ন আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের সমর্থনে গ্রাফিতি করা হয় এবং ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ ইত্যাদি শ্লোগান ছাড়াও লেখা ছিল ‘ডিফেন্ড দ্য লাইফ অফ চেয়ারম্যান গঞ্জালো’!