বন্দরের জন্য মায়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সংস্থাকে ২২০ কোটি টাকা দিচ্ছে আদানি গোষ্ঠী: রিপোর্ট
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে তোলপাড় মায়ানমার। প্রায়ই সেখান থেকে বহু মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবিসি নিউজের একটি প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী বন্দরের চুক্তির জন্য সে দেশের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থাকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ২২০ কোটি টাকারও বেশি। ইয়াঙ্গন রিজিওনাল ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের একটি নথি ফাঁস করে এই অভিযোগ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।তবে আদানি গোষ্ঠী একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে যে তারা বন্দরের অনুমোদনের জন্য সামরিক বাহিনীর কোন কর্তাদের সাথে যুক্ত ছিল না। বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘এই অনুমোদন পাওয়ার পরে সামরিক নেতৃত্বের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি আমরা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করি।“
তবে ভিডিও ও ছবিতে থেকে জানা যাচ্ছে যে আদানি পোর্টসের প্রধান নির্বাহী করণ আদানি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সেনা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সাথে দেখা করেছিল। হ্লাইং সহ কিছু জেনারেল তখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচার করার অপরাধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংস্থার নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
হ্লাইং সহ বর্তমান ও প্রাক্তন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকদের মায়ানমারের দুটি আর্থিক সংস্থার ওপর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ওই দুই সংস্থা সে দেশের ব্যবসার সিংহ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে।
২০১৯ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে, আদানি পোর্ট সংস্থাকে মায়ানমারের সামরিক সংস্থার সাথে জড়িত সংস্থা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বিদেশী সংস্থাগুলিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে কোনো বিদেশি সংস্থাকে ব্যবসা না করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলির আশঙ্কা, জমির খাজনা হিসেবে দেওয়া আদানিদের ওই টাকা মায়ানমারের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য ব্যবহার করতে পারে।