পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: অভিযোগ, তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর অত্যাচার করা হয়। তার জেরে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে মাওবাদী হওয়ার অনুমতি চাইল অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার এক দলিত তরুণ। তার বক্তব্য, তিনি ন্যায় পাননি। জেলার এলুরু রেঞ্জের ডিআইজি মোহন রাও মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন ঘটনাটি ‘দুর্ভাগ্যজনক’। ভারা প্রসাদ নামে ওই তরুণের ঘটনায় যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তার বক্তব্য, ঘটনার জেরে সীতানগরম থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘এসসি/এসটি প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস অ্যাক্টে’ মামলাও করা হয়েছে। ভারা প্রসাদকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে এবং ওই তরুণের গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এ সব ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও ভারাপ্রসাদের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে মাওবাদী হয়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক মনে করেন তিনি।তার ধারণা, কোনো ‘রাজনৈতিক শক্তি’ প্রসাদকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে।
মোহন রাওয়ের বক্তব্য, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তাতে যোগ দিতে চাওয়া এবং এই ধরনের ইচ্ছাকে উৎসাহিত করা- দুইই অপরাধ। এর বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের মন্তব্য জনগণের মধ্যে ভুল বার্তা পাঠাবে। বাক স্বাধীনতার অধিকারকে অপব্যবহার করা উচিত নয়।
জানা গেছে, স্থানীয় এক ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন ভারাপ্রসাদ। মুনি কোদালি অঞ্চলে ওই নেতার বালির গাড়ি আটকে ছিলেন তিনি। তারপরই ঘটনার তদন্ত করার অছিলায় পুলিশ তাকে ২০ জুলাই থানায় ডেকে পাঠায়।তারপর তার উপর অত্যাচার করা হয়। রাজ্য পুলিশের ডিজি প্রাথমিক তদন্ত করে সীতানগরম থানা এক সাব ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেন।
মুখ্যামন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।