পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনার জন্য বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে বিশ্বভারতীতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্যকে তাদের প্রতিবাদের কথা আগেই জানিয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নানা মত রয়েছে, তাই এই বিষয়ে আলোচনার জন্য ভিন্নমতের বক্তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো উচিত। পাশাপাশি তাদের মত ছিল, যেহেতু ৮ তারিখ দেশে ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘট এবং পড়ুয়াদের একটা বড়ো অংশ সেই ধর্মঘটে সামিল, তাই আলোচনার দিন পালটানো হোক। কিন্তু সেই দাবি মানেননি উপাচার্য। উপাচার্যর গোয়ার্তুমির ফল ভুগল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
আলোচনা সভাটি হওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতীর লিপিকা অডিটোরিয়ামে। সেই মতো দুপুর সাড়ে তিনটের সময় সেখানে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়রা। রাতারাতি আলোচনার স্থান বদলে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে শ্রীনিকেতনের সোশাল ওয়ার্ক ভবনে আলোচনার বন্দোবস্ত করেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি-আরএসএস কর্মীরা এবং কিছু ছাত্র। অন্যদিকে স্থান বদলের খবর পেয়ে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা সেখানে পৌঁছে যান। দরজার তালা ভেঙে ভবন চত্বরে ঢুকেও পড়েন।
পড়ুয়ারা আলোচনার হলে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে টানা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। সভা শেষ হওয়ার পরে সেখানে আটকে পড়েন সাংসদ ও উপাচার্য। আতঙ্কিত সাংসদ নাগাড়ে টুইট করতে থাকেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্ক্ষলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ জানিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাংসদের ওপর আক্রমণ হলে ফল ভালো হবে না বলে টুইট করেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী। শ্রীনিকেতনের বাইরে ভিড় করতে থাকে স্থানীয় বিজেপি-আরএসএস কর্মীরা। এসে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও। শেষ পর্যন্ত রাতে সাড়ে দশটার সময় ধরনা শেষ করেন পড়ুয়ারা। তারপরই সভাস্থল ছাড়েন সাংসদ ও ও উপাচার্য।