
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইরাকে আমেরিকার দুই সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন ‘মার্কিন জঙ্গি’র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল ইরানের সরকারি টেলিভিশন। মার্কিন দ্রোন হানায় ইরানের ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড’-এর প্রধান কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতেই ওই হামলা চালিয়েছে ইরান।
আরও পড়ুন: ইরাকে দুই মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হানা
মঙ্গলবারা রাত ১ টা ২০ মিনিটে ইরাকের আল আসাদে মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর সেনা ঘাঁটিতে প্রথম হামলাটি চালায় ইরান। ইরবিলে পরের হামলাটি করা হয় ভোর সাড়ে তিনটেয়। দুটি হামলা মিলিয়ে ইরান ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি সে দেশের সরকারি টিভি চ্যানেলের। তবে ইরাকের একটি সূত্রের দাবি, ইরান মোট ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হামলায় নিহত মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর সেনাদের ‘মার্কিন জঙ্গি’ বলে অভিহিত করেছে ইরান।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডিন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছিলেন ‘সব ঠিক আছে’, তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে দেখছেন। তবে শুধু মার্কিন সেনাদের মৃত্যু নয়, ইরানের দাবি জোড়া হামলায় আমেরিকার বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও সামরিক সরঞ্জামেরও ক্ষতি হয়েছে।
সোলেমানিকে হত্যার পর আমেরিকা জানিয়েছিল, ইরান প্রতিশোধ নিলে তারা ইরানের ৫২টি জায়গায় হামলা চালাবে। এদিনের হামলার পর ইরান জানিয়েছে, আমেরিকা প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলে, তারা ইরাকে আমেরিকার কার্যকলাপের ১০০টি কেন্দ্রে হামলা করবে। এদিনের আক্রমণকে আমেরিকার ‘গালে সপাটে চড়’ বলে দাবি করেছেন ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আল খোমেইনি। অন্যদিকে ইরাক বলেছে, ইরান যে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করতে চলেছে, সেটা তারা আগেই বাগদাদকে জানিয়ে দিয়েছিল।
সব মিলিয়ে বিশ্বযুদ্ধের কেন্দ্র হয়ে ওঠার আশঙ্কায় দিন গুনছে মধ্যপ্রাচ্য।