পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন দ্রোন হানায় ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের অভিজাত কোয়াড বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেইমানি ও ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিসের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। বিশ্বার বহু দেশ এই হামলার নিন্দা করেছে। অনেকে ওই এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছে বিবমান পক্ষদের। আমেরিকার পক্ষে রয়েছে কেবল ইজরায়েল ও সৌদি আরব। সোলেইমানির মৃত্যুতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষ হলেই প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে ইরান। অন্যদিকে বিশ্বের জনগণের প্রধান শত্রু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পান্ডা ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছে ইরান যদি মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা করে তাহলে আমেরিকা ইরানের ৫২টি জায়াগায় হামলা চালাবে। সব মিলিয়ে বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য।
এই অবস্থায় শনিবার আমেরিকার ৩৪টি প্রদেশের ৮০টি শহরে বিক্ষোভ দেখান অসংখ্যা মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল মূলত তিনটি। ১. ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করপা যাবে না। ২. ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকাকে সরে আসতে হবে এবং ৩. ইরানের ওপর থেকে যাবতীয় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সংগঠন ছিল ANSWER জোট, CODEPINK এবং পপুলার রেজিস্ট্যান্স। এই যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা দ্রুত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠকরা।
দেখে নেওয়া যাক আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ছবিগুলো।