চলছে যথাযথ কর্মসংস্থানের লড়াই, বছরের শুরুতেই রক্তাক্ত প্রতিবাদ মৎস্য বিজ্ঞানের ছাত্রদের
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: একটানা ক্লাস বয়কটের পর এবার আন্দোলনকে নতুন রূপ দিলেন রাজ্যের মৎস্য বিজ্ঞান পড়ুয়ারা।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান মঞ্চে রক্তাক্ত ছাত্রদের ‘নীল অভিযান’। জলের সমার্থক শব্দ নীল। সেই অর্থকে মাথায় রেখেই এমন নামকরণ করা হয়েছিল এদিনের কর্মসূচির।সমগ্র ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য বিজ্ঞান ক্ষেত্রে একমাত্র পেশাদার ডিগ্রি (৪ বছরের) বিএফএসসি-র সম্মান রক্ষা করার আর্তি নিয়ে এবং মৎস্য দফতরের নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মঞ্চের উপরেই হাত কেটে রক্ত দিয়ে লেখা হয় ‘Save B.F.Sc’ । সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রী পূর্ণেন্দু বিশ্বাস,অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অফ ফিশারিশ শ্রীমতি মধুমিতা মুখার্জি,স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রীমতি মালা সাহা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সকল অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রায় ২৫০ জন মৎস্যবিজ্ঞান পড়ুয়া প্রথমে নিজেদের দাবি নিয়ে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে শ্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলগাছিয়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং সেখানে সকলের সামনে নিজেদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরে। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ‘Faculty Level Best Student Award’ এবং ‘University Level Best Student Award’ প্রত্যাখান করেন মৎস্য বিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী শায়রী চক্রবর্তী ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্র সায়ন্তন ভট্টাচার্য । এরপর হাত কেটে রক্ত দিয়ে লিখে B.F.Sc ডিগ্রির মান বাচানোর আর্জি জানায় ছাত্রছাত্রীরা।
তাদের দাবি, ১.বাংলার মৎস্য সম্পদকে রক্ষা করতে ২০১৩ সালে তৈরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টাস্ক ফোর্স অন ফিশারিজ-এর রিপোর্ট এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি মৎস্য দফতর। তার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে অতি সত্বর মৎস্য দফতরের পুনর্গঠন করা অর্থাৎ “Re-organisation and restructuring of the fisheries department”।
২. মৎস্য দফতরকে কৃষি দফতর এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের সমতূল্য গঠন পরিকাঠামো প্রদান করা।
৩. “Right man in right job” অর্থাৎ যোগ্য স্থানে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োজিত করা। মাছে ভাতে বাঙালি যেন সবসময় মাছের সঠিক জোগান পায় সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে তাদের দাবি মেনে দফতরের অগণিত শূন্যপদ পুরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের সাথে দেখা করে তাদের দাবিকে ন্যায্য বলে বিষয়টি মৎস্য দফতরের কাছে জানানোর বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা বার বার এরকম শুষ্ক আশ্বাস মেনে নিতে রাজি নয়।কোনো লিখিত বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কোনো ভাবেই তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়েছে।