পাকিস্তান জুড়ে বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের মিছিল, ইউনিয়নের অধিকার সহ একগুচ্ছ দাবি, ছবি, ভিডিও
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: শীত এসে গেলে, বসন্ত কি দূরে থাকতে পারে? গোটা লাতিন আমেরিকা, লেবানন, মিশর, ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক, কানাডা, ফ্রান্স যখন গণবিক্ষোভে-ধর্মঘটে উত্তাল, তখন পিছিয়ে থাকল না আমাদের প্রতিবেশী দেশটিও। সন্ত্রাসবাদ আর নেতিবাচক ঘটনা দিয়ে বারবার দুনিয়ার নজর কেড়েছে পাকিস্তান। এবার সেখানে দেখা গেল বামপন্থী পড়ুয়াদের দেশজোড়া মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন।
আরও পড়ুন: বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে একজোট হওয়ার ডাক মাওবাদীদের
বামপন্থীদের এহেন শক্তি প্রদর্শন এই ইসলামি দেশটিতে বিরল ঘটনা বললেও কম বলা হয়। এই ঘটনা চমকে দিয়েছে গোটা দুনিয়াকে।
প্রগ্রেসিভ স্টুডেন্ট কালেকটিভ নামে বামপন্থী পড়ুয়াদের একটি যৌথমঞ্চ তিন সপ্তাহ আগে ডাক দিয়েছিল এদিনের মিছিলের। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, অভিভাবক, অধ্যাপক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন মানুষ। তাদের নিয়ে তরি হয়েছিল স্টুডেন্টস অ্যাকশন কমিটি।
গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, পথে প্রচার করেছে স্টুডেন্টস অ্যাকশন কমিটি। শুক্রবার তার ফল মিলল। দেশের ৫০টি শহরের ছাত্রছাত্রী ও সমাজের নানা স্তরের মানুষ পা মিলিয়েছিলেন এদিনের মিছিলে। লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ, বালোচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর- বাদ নেই কোনো শহর।
পড়ুয়াদের দাবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন করার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ১৯৮৪ সালে জেনারেল জিয়া উল হক কেড়ে নিয়েছিলেন এই অধিকার। তারপর থেকে ক্রমাগত অরাজনৈতিক হয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের পড়ুয়ারা এবং পাকিস্তানি সমাজ। যার জেরে সমাজে জায়গা করে নিয়েছে তালিবান।
তবে শুধু ইউনিয়নের অধিকার নয়। সঙ্গে ছিল শিক্ষার বেসরকারিকরণের বিরোধিতা, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়বৃদ্ধি, পড়াশোনার খরচ কমানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হেনস্থা রোধে কমিটি, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে পড়ুয়াদের রাখা সহ নানা দাবি। সরকারের কাছে একটি দাবিপত্র পেশ করেছেন তারা।
পড়ুয়াদের বেশিরভাগের হাতেই ছিল সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদের লাল পতাকা। শ্লোগানে শ্রেণিহীন সমাজের ডাক।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠরত পাকিস্তানি পড়ুয়ারা এদিনের মিছিলকে সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিও দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে এদিনের প্রাণবন্ত মিছিল উৎসবের আকার নিয়েছিল। পাকিস্তানের আগামীর ইতিহাসে ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর দিনটি স্থায়ী আসন নিতেই পারে।
Thanks