আস্থা ফেরানোর রায়? দেশের প্রধান বিচারপতির দফতরও তথ্যের অধিকারের আওতায়
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই রায়ে যুক্তি পরম্পরায় অসঙ্গতি রয়েছে, এমন আলোচনা এখনও চলছে দেশ জুড়ে। দেশের বিচার বিভাগ ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ দেখছে- এমন অভিযোগও করেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতিরাও। এই অবস্থায় শীর্ষ আদালত এমন একটি রায় দিল, যাতে বিচার বিভাগের প্রতি যারা ভরসা হারাচ্ছিলেন, তাদের প্রতি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ৯দিনে পড়ল ধর্মঘট, বন্ধ মানেসরের হন্ডা কারখানা
২০১০ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, দেশের প্রধান বিচারপতির দফতরও আসবে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে তিনটি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের মহাসচিব ও জন তথ্য আধিকারিক। সওয়াল জবাবের পর গত ৪ এপ্রিল রায় স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এখন থেকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আসবে প্রধান বিচারপতির দফতরও। পাশাপাশি রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি গগৈ জানিয়েছেন, তথ্যের অধিকার আইনকে নজরদারির অস্ত্র করে তোলা উচিত নয়। স্বচ্ছতা নিয়ে ভাবার পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার।
পাশাপাশ এদিন আদালত জানিয়েছে, কলেজিয়াম কোন কোন বিচারপতির নাম সুপারিশ করেছে, তা জানানো হলেও কেন তাদেরকেই বাছা হল, সেটা জানানো যাবে না।