পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পাঁচই নভেম্বরের মধ্যে ধর্মঘটী পরিবহণ কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা জানিয়ে দিয়েছিলেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মানলেন না শ্রমিকরা। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘট তাঁরা চালিয়ে য়াওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তেলেঙ্গনা রাজ্য পথ পরিবহণ নিগমের ৪৮ হাজার কর্মী এখনও পথেই।ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ১০জন শ্রমিক। তিনজন আত্মঘাতী হয়েছেন।
শ্রমিকদের ২৬টি দাবি থাকলেও মূল দাবি, নিগমের সরকারিকরণ। তাতে তাঁরা সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা মানতে রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, এই দাবি মানলে রাজ্যের আরও ৫৬টি নিগমের কর্মীরাও একই দাবি তুলবেন। রাও আগেই বলেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে অসুবিধায় ফেলে ধর্মঘট করে শ্রমিকরা নিজেরাই নিজেদের ‘বরখাস্ত’ করেছেন। ধর্মঘটীদের চাপে ফেলতে ৫১০০টি বেসরকারি বাসকে পারমিট দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। কিন্তু শ্রমিকদের পিছু হঠার কোনো লক্ষণ এখনও নেই। যদিও মঙ্গলবার সরকারি হুমকির জেরে অল্প কিছু শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন।
তেলেঙ্গনার পরিবহণ শ্রমিকদের আন্দোলন নতুন নয়। ২০০১ সালে তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের পরিবহণ শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে ২৪দিন ধর্মঘট করেছিলেন। ২০১১ সালে ধর্মঘট চলেছিল ২৭ দিন। সেবার তেলেঙ্গনা অঞ্চলের শ্রমিকরা পৃথক তেলেঙ্গনা রাজ্যের দাবিতে যোগ দেন। রাজ্য সরকার পরিবহণ নিগমকে বেসরকারিকরণের ইঙ্গিত দিতেই শুরু হয় এবারের আন্দোলন। যদিও চাপের মুখে সরকার বলছে, কিছু পরিবর্তন হলেও বেসরকারিকরণ হবে না। দুপক্ষের আলোচনা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আদালতের হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি। দাবি না মানলে, ১০ লক্ষ মানুষের মিছিল করার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।