কেমন আছেন উবর-চালকরা? তাদের জীবন সংগ্রামের কয়েক ঝলক
(নিবন্ধটি দ্য ওয়ার ডট ইনে প্রকাশিত বৈভব রঘুনন্দন লিখিত একটি ফিচারের ভাবানুবাদ)
গত বছরের জানুয়ারিতে জাকি আহমেদ একটি গাড়ি কিনেছিলেন। তাঁর কথায়, গাড়িটি ছিল একটি বিনিয়োগ, যা তিনি উব্যর ট্যাক্সি হিসেবে চালাতেন। চল্লিশ বছর বয়সি কেতাদুরস্ত আহমেদ তার পোশাকের ব্যাপারে বেশ মনোযোগী ছিলেন। এমনকি তিনি তাঁর প্রিয় অভিনেতা জিতেন্দ্রর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাধারণত সাদা পোশাক পরতেন। কিন্তু বছরের শেষের দিকে, তাঁকে ঘিরে তাঁর জগৎটা যেন সমস্ত উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেছিল।
ছয় বছর আগে, যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করে আহমেদ রোহিণীতে নিজের গ্যারেজ চালু করেছিলেন। সেখানে তিনি গাড়ি-বাইক সার্ভিসিং এবং কাস্টমাইজের কাজ করতেন। রাস্তার পাশে একটা ঝুপড়িঘরে ছিল তাঁর গ্যারেজ। স্বভাবতই জাঁকজমক বা আড়ম্বরের লেশমাত্র ছিল না। নিয়মিত খদ্দের ও স্থানীয় লোকেরা সেই সময় থেকেই তাকে শালিমারবাগের একজন মেকানিক হিসাবে চিনতেন। তিনি কখনই দুইটির বেশি দীর্ঘমেয়াদি নিতেন না। তিনি সাধারণত সেই গাড়িগুলিকে বাজারের পার্কিং এলাকায় পার্কিং করতেন। এইভাবে ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়তে লাগলো। আর তখনই দেশব্যাপী নোটবন্দি কার্যকর হল।
আহমেদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, নগদে আর্থিক লেনদেন করেন। যা উপার্জন হয়েছিল তা অবিলম্বে খরচাপাতি চালাতে ব্যয় হয়ে যায়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে উৎসবের মরসুমের ঠিক পরে যে সময় নোটবন্দি করা হয়েছিল, সে সময়টা আহমেদের মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ছিল খুবই কঠিন, তখন তাঁর কাছে বিনিয়োগ করার মতো অর্থ ছিল না। পরের কয়েক মাসে নতুন করে জোরালো ভাবে বাজারে আসার জন্য আহমেদ, শুভানুধ্যায়ী এবং মহাজনদের থেকে কিছু ঋণ নিয়েছিলেন। পরের তিন বছরে তিনি গ্যারেজকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন, এমনকি সেখানে তার সাথে কাজ করার জন্য দুজন কর্মচারী নিয়োগ করেন—উভয়কেই তিনি মাসে ৫ হাজার টাকা বেতন দিতেন। কিন্তু যখন পরবর্তী বিপর্যয় ঘটল তখন পুনরুদ্ধারের কোনো আশা থাকল না।
ধনী, মধ্যবিত্ত, বেতনভোগী, উদ্যোক্তা এবং স্ব-নির্ভর মানুষেরা অনলাইন জীবনের আড়ালে আশ্রয় নেওয়ায় আহমেদের খদ্দের কমে যাচ্ছিল। তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি আরও একটি ছোটো দোকান খুলে ব্যবসা বাড়াবেন, কিন্তু লকডাউনের এই দুই মাসের মধ্যে নতুন দোকান খোলা তো দূরের কথা, যে গ্যারেজটা ছিল, সেটা পর্যন্ত খুলতে পারেননি। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কাজেই সার্ভিসিং-এর কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে তাঁর ঘরভাড়ার ১০,০০০ টাকা জোগাড় করতে পর্যন্ত হিমশিম খেতে হয়েছিল। অবশেষে তিনি তাঁর দুই কর্মচারীকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর তিনি কিছু টুকিটাকি কাজ করতে শুরু করেন। প্রথমে একটি ছোটো দোকানের ডেলিভারি বয় হিসাবে, তারপর, তার কিশোর ছেলের কাছ থেকে কিছু প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে–ডানজোর সাথে। তিনি প্রায় এক বছর ধরে কোন সুনির্দিষ্ট কাজ ছাড়াই ছিলেন। তারপর তিনি জানতে পারেন যে একটি ব্যাংক অনাদায়ী ঋণের কারণে দখলিকৃত যানবাহন নিলাম করছে। তিনি তার জীবনের সঞ্চয় এবং তার স্ত্রীর গহনা ব্যবহার করে একটি, সবচেয়ে সস্তা গাড়িটি কিনেছিলেন।
আহমেদ বলেন যে, এখন তিনি যেকথা গুলি জানেন যদি তা আগে জানতেন তাহলে তিনি গাড়িটি মোটেও কিনতেন না। তিনি রেগে বলেন “ব্যাপারটা ঔপনিবেশিক শাসনকালের মতো”। “কিছু বিদেশি কোম্পানি এখানে আসে, সরকারের সাথে চুক্তি করে, আমাদের লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করে এবং তারপরে শেষ পর্যন্ত আমাদের শোষণ করে।”
এমনকি গ্রাহকদের জন্য Uber-এর খরচ অনেক বেড়ে গেলেও, ড্রাইভারের আয় কমই থেকে যায়, প্রায় অলাভজনক হওয়ার পর্যায়ে। আহমেদ বলেন, অ্যাপটিতে চালকদের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোম্পানি গাড়িভাড়ার প্রায় 30% ‘ফি’ হিসেবে নেয়। বাস্তবে, লেখকের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য ড্রাইভারদের সাথে কথোপকথন থেকে দেখা গেছে যে – ‘ফি’ হিসেবে কোম্পানি গাড়িভাড়ার 25-26% নেয়।
আহমেদ বলেন, “আমার এই কাজ করার একমাত্র কারণ হল বাড়িতে বসে থাকাটা কোনো বিকল্পই নয়।” আহমেদ বলেন, “আমার ছেলে [10 বছর বয়সি] একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়ে। অনলাইন ক্লাস হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের ফি বাড়াতে ছাড়েনি। সবকিছুর জন্যই টাকা লাগে।”
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য, আহমেদ বেশি উপার্জনের আশায় মাসের দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত কাজ করেন। কিন্তু সঞ্চয় কিছুমাত্র হয়না। একহাতে যা উপার্জন হয় তা অন্যহাতে ব্যয় হয়ে যায়।
বহুতল অফিসের সুসজ্জিত কক্ষে বসে থাকা কর্তাব্যক্তিদের কাছে এই বিষয়গুলি মোটেই উদ্বেগ সৃষ্টিকারী নয়। তাদের কাছে কোম্পানির লাভই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। উবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির যা উপার্জন হয়েছে তা ২০২২-এর মার্চ পর্যন্ত হওয়া উপার্জনের থেকে ৭.১% বেশি(৩৯৬.৯৫ কোটি টাকা)। একই সময়ে কোম্পানিটি মোট ২১৬.৪২ কোটি টাকার ক্ষতির রিপোর্ট করেছে — মহামারি দ্বারা প্রভাবিত ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তারা ৩৩৩.৮৯ কোটি টাকা ক্ষতির কথা জানিয়েছে।
কোম্পানিটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, তারা ২০২১ সালে দেশের অর্থনীতিতে ‘অর্থনৈতিক মূল্যে’ আনুমানিক ৪৪,৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ড্রাইভার ও অন্যান্য অংশীদারদের উপার্জন এবং কোম্পানির বৃহত্তর সরবরাহ শৃঙ্খল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই সব সময়, যতবারই উবরের কার্যপদ্ধতি সর্বসমক্ষে এসেছে, ততবারই পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা গভীর, ছলনাপূর্ণ ছবিটা সামনে এসেছে। প্রথমটি ‘উবার ফাইল’ নামের একটি অনুসন্ধানী সিরিজ আকারে এসেছিল, যা দেখায় যে কীভাবে সংস্থাটি স্থানীয় আইনকে এড়ানোর করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করেছিল, প্রায়শই তাদের ঘুষ দিয়েছিল। প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, উবর যাতে ফ্রান্সে প্রবেশ করতে পারে, তার জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ব্যাপকভাবে প্রাভাবিত করার চেষ্টা করছে ভারত।
ফাঁস হওয়া নথিগুলিতে দেখা গেছে যে, উবর প্রায়ই তার কোম্পানির জন্য অনুকূল কভারেজ পেতে বড়ো মিডিয়া হাউসগুলির দ্বারস্থ হয়। এমনকি এখন, ইন্টারনেটে উবরের মুনাফার তথ্যের রিপোর্টে দেখা যাবে কীভাবে কোম্পানিটি ড্রাইভারদের মুনাফা কেটে তা প্রধান অংশীদারদের মধ্যে বন্টন করে।
এটাও লক্ষণীয় যে কোম্পানির লোকসান ক্রমাগত হ্রাস পেলেও ব্যয়ও হ্রাস পেয়েছে। ইকনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ অর্থবর্ষে উবর ইন্ডিয়া তাদের কর্মচারী-বেনিফিট ভাতা বছরে ৪৪% কমিয়ে ১৫০.৯৬ কোটি করেছে।
নিউ ট্রেড ইউনিয়ন ইনিশিয়েটিভ-এর সেক্রেটারি গৌতম মোদি বলেন, “উবর নিজেদের সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করেছে যা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে৷” “আমি এমন চালকদের চিনি যারা ভাল চাকরি ছেড়েছে, এমনও লোকদের চিনি যারা অফিসের কর্মচারী – নিম্ন স্তরের হিসাবরক্ষক এবং ব্যাঙ্ক ক্লার্কের চাকরি ছেড়ে দিয়েছে শুধুমাত্র উবার ড্রাইভার হিসাবে আরও ভাল অর্থ উপার্জন করার আশায়”।
উবর প্রচলিত হওয়ার অনেক আগে থেকেই, ভারতের শহুরে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান উপায় ছিল হলুদ-কালো ট্যাক্সি, যা স্থানীয় সরকার এবং ইউনিয়নগুলির দ্বারা নির্ধারিত ভাড়ার নিয়ম মেনে চলে। উবর যে কোনো সরকারি আইনের বাইরে কাজ করে — অথবা যেমন আহমেদ বলেছেন, “আমাদের শোষণ করার জন্য সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করে” — এবং তাই জ্বালানির দাম, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির কথা বিবেচনা করে না।
২০২১ সালে, ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অফ অ্যাপ-বেসড ট্রান্সপোর্ট (IFAT) কর্মীরা ভারতে অ্যাপ-ভিত্তিক পরিবহন এবং ডেলেভারি কর্মীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার (যেমন পেনশন এবং স্বাস্থ্য বিমা) দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিআইএল দায়ের করে। এই দাবিগুলিকে বাইপাস করার জন্য, উবর একটি উপায় বের করেছে। তারা তাদের ড্রাইভার-চুক্তিতে “অংশীদার” কথাটির বদলে “গ্রাহক” কথাটি ব্যবহার করেছে।
রাজেশ কুমার বলেছেন, “আজকে সবাই উবর চালাচ্ছে, কারণ তারা অসহায়।” রাজেশ কুমার সিলামপুরে একটি বিস্কুট বেকারির মালিক ছিলেন। ২০১৮ সালে দুর্ঘটনায় একজন কর্মচারীর মৃত্যুর ফলে তিনি ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হন।
বেকারি ব্যবসায় মার খাওয়ার পর, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার অবস্থা না থাকায়, কুমার এবং তার ভাই সুরেশ তাদের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে একটি গাড়ি কিনে উবরে গাড়ি চালাতে শুরু করেন। প্রথম দিনগুলি অত্যন্ত লাভজনক ছিল। কুমার বলেছেন “এমন কিছু মাস গেছে, যখন আমি মাসে প্রায় ৬০,০০০ টাকা আয় করতাম”। এই কাজ এতটাই লাভজনক হয়ে উঠেছিল যে দুই ভাই পরে অন্য একটি গাড়ি কিনে ভাড়ার কাজে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এটা খুব ভালো সিদ্ধান্তে পরিণত হয়।
একবার বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর কোম্পানি ইনসেনটিভ দেওয়া ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়। পরিবারের খরচের বোঝা কমাতে কুমার এখন প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য উবরে গাড়ি চালান। কিন্তু পরিবারের খরচ এবং সঞ্চয়ের বড় অংশটা আসে ভাড়ায় খাটানো গাড়িটি থেকে। “বেকারি বন্ধ হওয়ার পরে আমরা সবকিছু হারিয়েছি, এমনকি ঋণের তলায় তলিয়ে গিয়েছিলাম, তাই আমাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে।
কুমার বলেছেন, “রাইডের ভাড়া বাড়ছে, পেট্রোলের দাম বাড়ছে, সিএনজির দাম বাড়ছে, খাবারের দাম বাড়ছে এবং প্রতিদিন আমি এমনই যাত্রীদের পাই যারা আমার মতো একই জিনিস নিয়ে অভিযোগ করে, তবে অনেক তীব্র ভাবে। সবাই বিলিয়নেয়ার হয়না, কিন্তু যাদের প্রচুর অর্থ আছে তারা অন্যদেরকে অর্থ উপার্জন করতে দেয়না।”
গত বছরের এপ্রিলে সিএনজির দাম বৃদ্ধির ফলে অনেক ট্যাক্সি ও অটোরিকশা ইউনিয়ন ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। উবর এবং ওলা তাদের ভাড়া যথাযথভাবে বৃদ্ধি করে কিন্তু তবুও, ড্রাইভারদের পাওনা যেই-কে-সেই থাকে। গ্রীষ্মকালে উবার চালকরা প্রায়ই এসি চালাতে অস্বীকার করেন, তাঁদের অভিযোগ তাঁরা যদি এসি চালান তবে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার মতো টাকাও থাকবেনা তাঁদের কাছে; বাড়তি খরচটা তাঁদেরকেই বহন করতে হবে। কুমার বলেছেন, “সিএনজির রেট দ্বিগুন হয়েছে, ভাড়া বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় থমকে আছে। এসি লাগানো মানে বেশি গ্যাস খরচ করা। আমার রেটিং কমে গেছে কারণ বেশিরভাগ গ্রাহকরা আমাদের সমস্যাগুলি বিবেচনা করেননা, শুধুমাত্র নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যটাই বোঝেন৷ কিন্তু আপনি তাদেরও দোষ দিতে পারবেন না।” সর্বোপরি, বৈষম্যের একটি মূল কারণ হল, মানুষের নিজেদের চোখের দুপাশ থেকে আচ্ছাদন সরিয়ে পৃথিবীটাকে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পাওয়ার অক্ষমতা।
এই পরিস্থিতিতে, উবর চালানো মোটেই সুখকর বা সমৃদ্ধিকর নয়, বরং মন ও শরীরকে সদাব্যস্ত রাখার একটি প্রক্রিয়া মাত্র। ৩৫ বছর বয়সি মামা সিং ওরফে রোশন, উবারে গাড়ি চালানোর জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা কাজ করেন। বহু চালক অর্থ উপার্জনের জন্য এই ব্যবস্থার উপর নির্ভর করছেন।
“আমি টাকার জন্য এই কাজ করি না,” তিনি বলেন। “আমার মা পেনশন পান, আমার স্ত্রী বর্তমানে তার বাবা-মায়ের সাথে থাকেন এবং আমরা গোবিন্দপুরীতে একটি বাড়ির মালিক। আমি এই কাজ করি শুধুমাত্র বাড়ির বাইরে থাকার জন্য এবং ঝগড়াঝাটি এড়ানোর জন্য।
“উপরন্তু,” তিনি হাসেন, ধীরে ধীরে সিটের নিচ থেকে একটি বোতল বের করেন, “সবাই আমার মদ্যপানের অভ্যাসকে ঘৃণা করে, তাই আমি কাজের মধ্যেই মদ্যপান করি।