Home কৃষি ডিজিটাল এগ্রিকালচার: চুপিসাড়ে কৃষি আইন কার্যকর করা শুরু কেন্দ্রের

ডিজিটাল এগ্রিকালচার: চুপিসাড়ে কৃষি আইন কার্যকর করা শুরু কেন্দ্রের

ডিজিটাল এগ্রিকালচার: চুপিসাড়ে কৃষি আইন কার্যকর করা শুরু কেন্দ্রের
0

জীবন পাঠক

‘ডিজিটাল এগ্রিকালচার’-এর পথে সাম্প্রতিক কালের কিছু ঘটনা:

সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা সবার সামনেই স্পষ্ট। এই করোনা পরিস্থিতিতে গোটা দেশের মানুষের চোখ যখন দৈনিক সংক্রমণ-এর হিসেব রাখছে ঠিক সেই সময়ই সবকিছুর আড়ালে নয়া কৃষি বিলগুলোকে রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। শুনতে অবাক লাগছে না? মনে হচ্ছে চলমান কৃষক আন্দোলনের মধ্যেই কীভাবে কৃষি বিল রূপায়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে?

বিষয়টা তাহলে স্পষ্ট করা যাক।

২০২১-র এপ্রিল মাসে ভারত সরকার মাইক্রোসফট কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি সাক্ষর করে [Memorandum of Understanding (MoU) ] যার মারফত মাইক্রোসফট একটি ভারতীয় লোকাল পার্টনার ‘CropData’-কে ভারতীয় কৃষকদের নিয়ে একটা ডিজিটাল ডাটাবেস বানানোর কথা বলা বলে ।  এই ডিজিটাল ডাটাবেস নির্মাণের সম্পূর্ণ প্রজেক্টটিকে নাম দেওয়া হয় AGRISTACK। বলা বাহুল্য, এই চুক্তি আদতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত নতুন কৃষি বিল লাগু করার একটা অংশ মাত্র।

কী এই AgriStacks ডেটাবেস ?

বিভিন্ন প্রেস বিবৃতি এবং সরকারি তথ্য অনুযায়ী মাইক্রোসফট কোম্পানি দেশীয় কৃষকদের নিয়ে একটা সংযুক্ত ডিজিটাল মঞ্চ বানানোর উদ্যোগ নেবে যাতে বিভিন্ন তথ্য যেমন :অধিকৃত জমির পরিমাণ, আবহাওয়ার পরিস্থিতি, মাটির উর্বরতা, উৎপন্ন ফসলের  পরিমাণ থেকে শুরু করে বাজারে সেই ফসলের দাম এবং বিক্রির মাধ্যম, সমস্তটাই সংগ্রহ করা হবে। এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের নতুন ‘Digital Agriculture’- এর আওতায় আনা হবে যা কিনা কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে। অর্থাৎ CropData কোম্পানি আদতে দেশের প্রায় ৫ কোটি কৃষকের (অধার কার্ড থাকা) সরকারি, ব্যাক্তিগত তথ্য আর তাদের জমি সংক্রান্ত তথ্য নিজেদের হাতের মুঠোয় পাবে। এই তথ্যে শুধু কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ই নয় বরং কৃষকের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে জমির বিবরণ, জমির উৎপাদন ক্ষমতা, উৎপন্ন ফসলের মান, উৎপাদনে ব্যয় হওয়া অর্থ, ব্যবহৃত যন্ত্রাদি সমস্তটাই থাকবে এই কর্পোরেটের হাতে।

উদ্দেশ্য কী?

সরকারি বক্তব্য অনুযায়ী সমস্ত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে দেশের সমস্ত কৃষকদের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিয়ে তাদের কৃষির মান উন্নয়নই এই ডিজিটাল ডাটাবেস এর উদ্দেশ্য।

সমস্যা টা ঠিক কী?

আপাত দৃষ্টিতে এত অবধি পড়ে মনে হতেই পারে গোটা বিষয়টা কৃষকদের তথা দেশীয় কৃষির মান উন্নয়ন এর উদ্দেশ্যেই সরকারের এই মাস্টার স্ট্রোক। কিন্তু এই মাস্টার স্ট্রোক-এর পিছনে মাস্টার মাইন্ডটা ঠিক কে আর কীভাবে গোটা বিষয়টা নয়া কৃষি বিলকে লাগু করার চেষ্টা, সেটা নিয়ে এবার আলোকপাত করা যাক।

গত দশক থেকেই আমরা দেখেছি অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টরগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে কিভাবে  ফুড কোম্পানি বা এগ্রিবিজনেস কোম্পানিগুলো কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এরা প্রত্যেকেই  বেশি বেশি করে তথ্য মজুত করে কীভাবে নিজেদের মুনাফা করা যায় সেই দিকে মন দিয়েছে। গোটা বিষয়টা জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর সংযুক্তিকরণ এবং তথ্য কেনা বেচার মধ্যে দিয়ে।

বড়ো কোম্পানি যেমন মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, আইবিএম প্রত্যেকেই এখন নিজেদের বড়ো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করতে আগ্রহী। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য মজুত করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর শক্তিশালী alogorithm দিয়ে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি সম্পর্কিত উপদেশ দেওয়া যাবে।  যেখানে মাটি পরীক্ষা, উৎপাদন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন ড্রোন বা ফিল্ড সেন্সর ইত্যাদি ব্যবহার এর সুযোগ সুবিধে আছে (মূলত বড়ো ধনী কৃষকদের), এমন জায়গাগুলোতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার হতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোম্পানি সার প্রয়োগ থেকে শুরু করে ফসল কাটা, কীটনাশক প্রয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে পারে। বড়ো জমিতে, যেখানে প্রায় একই ধরনের অর্থকরী ফসল চাষ হয় সেইসব জমিতে এই পদ্ধতি কাজ করলেও; সমস্যাটা অন্য জায়গায়।

২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৮৬% কৃষক প্রান্তিক বা ছোটো কৃষক ( যাদের জমির পরিমাণ ৭ বিঘার কম )। এই কৃষকদের থেকে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ যেমন নেই, ঠিক তেমনই তাদের পক্ষে ব্যয় বহুল উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া একরকম আকাশকুসুম কল্পনা। যার ফলে, এইসব কৃষকদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে সেগুলো তাদের কোনো কাজেই লাগবে না, সেটা বলাই বাহুল্য।

এর সাথেই আরো একটি প্রশ্ন উঠে আসে। যেখানে দেশের অধিকাংশ কৃষক প্রান্তিক ( ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের মাসিক গড় আয় ৩৯৮০ টাকা ), তাদের কাছে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা বা ডিজিটাল পরিষেবা কতটা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব? যেসব কৃষি ক্ষেত্রে মিশ্র চাষ করা হয়, সেখানে যেকোনো একরকম কৃষি ফসলের উপর ভিত্তি করে দেওয়া কোনো উপদেশ যে নিতান্তই অনুপযোগী সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

কিন্তু গোটা বিষয়টা কি এই উপদেশ দেওয়া অবধিই  সীমাবদ্ধ? তাহলে কর্পোরেটদের এখানে মুনাফা কোথায়? যে কর্পোরেট সংস্থাগুলো এই প্রযুক্তি নির্মাণে নিজেদের পুঁজি বিনিয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্যই হলো কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়ন্ত্রিত এমন একটা বৃহৎ ডিজিটাল নেটওয়ার্ক নির্মাণ করা, যার মারফত তারা কৃষকদের থেকে কৃষিজাত পণ্য সরাসরি কেনা-বেচা করবে ও চাষের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবে ।

কৃষকদের কৃষিজাত ফসলের উন্নয়ন সংক্রান্ত উপদেশ দেওয়াটা স্পষ্টতই মুখ্য না। মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে কোম্পানির তৈরি কোনো উন্নত বীজ, সার, কীটনাশককে প্রমোট করা; কোম্পানির থেকে ফসল বিমা করানো, উৎপন্ন ফসল কোম্পানির কাছেই বিক্রি করতে বাধ্য করা। সমস্ত অর্থের লেনদেনটা হবে ডিজিটাল মানি অ্যাপ-এর মাধ্যমে, যার জন্য লাগবে আলাদা ফি। আদতেই গোটা বিষয়টা হলো ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ বা চুক্তি চাষের বড়োসড়ো ঝাঁ চকচকে ডিজিটাল ভার্সন। এই সমস্ত ঘটনার পূর্বাভাস নতুন কৃষি আইনে স্পষ্ট পওয়া যাচ্ছিল ।

ফলাফল কী হতে পারে?

গোটা ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে সমস্তটা নয়া কৃষি আইনের বাস্তব রূপায়ণ। যা কৃষি ক্ষেত্রে কর্পোরেট আগ্রাসন-এর একটা নীল নকশা ছাড়া কিছুই না। কৃষির ‘ডিজিটালাইজেশনের’ মধ্যে দিয়ে এমন এক কৃষি ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে যেখানে কৃষকের স্বাধীনতা বলেই কিছু থাকবে না। কী উৎপাদন করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, কতটা করতে হবে, কী কী ব্যবহার করতে হবে, কোথায় বিক্রি করতে হবে, কতটা লাভ হবে সমস্তটাই ঠিক করে দেবে কর্পোরেট। তারা নিজেদের কোম্পানির পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে নির্দিষ্ট ফসল চাষ করতে বলবে কৃষকদের। কৃষকের কাজ শুধু কোম্পানির  হুকুম তালিম করার সমান আর শ্রম দেওয়া। ফলস্বরূপ কিছু বছরেই কৃষকদের আর্থিক সংকট থেকে শুরু করে কৃষি ব্যবস্থা থেকে ক্ষুদ্র – মাঝারি কৃষক, ছোটোখাটো ফোড়ে, গ্রামীণ আড়তদার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা স্বাভাবিক ঘটনাতে পরিণত হবে।

Research Unit for Political Economy (RUPE) তে তিন ভাগে বিভক্ত একটা প্রবন্ধে সমস্ত বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। কীভাবে নয়া উদারনৈতিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থা কৃষকদের তাদের জমি থেকে উৎখাত করে, কর্পোরেটদের জন্য একটা সক্রিয় জমি সরবরাহের বাজার তৈরি করতে চায়। সরকার আসলে দেশে এমন একটা ব্যবস্থা আনতে চাইছে যার মাধ্যমে গোটা দেশের বিভিন্ন কৃষি জমির মালিকানা, কৃষি চরিত্র চিহ্নিত করা যায় এবং জমি কেনা-বেচা (অধিগ্রহণ) করা যায়।

তথ্য সংগ্রহ (ডাকাতি)-এর মধ্যে দিয়ে কর্পোরেটদের হাতে কৃষকের দৈনন্দিন জীবনের উপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নামিয়ে আনার ক্ষমতা রাখে এই প্রযুক্তি ব্যবস্থা। কারণ কোনো এলাকার কৃষকদের ব্যক্তিগত তথ্য, জমির তথ্য, তাদের আয়, লাভ লোকসান, খাদ্যাভ্যাস, যাবতীয় ব্যাপার সেই কৃষকের থেকে কোম্পানিগুলো বেশি জানবে, বিশ্লেষণ করবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্য করে কৃষকদের ঋণ নিতে বাধ্য করার মতো ব্যাপারগুলিও ঘটবে। এমনকি কোম্পানি নির্বাচিত নির্দিষ্ট ফসল চাষ করতে গিয়ে এতদিন ধরে চলে আসা দেশীয়, স্বনির্ভর কৃষি ব্যবস্থা টাই ধ্বংসের মুখে পড়বে এবং তার সাথেই বিভিন্ন ভুল তথ্যের বা উপদেশের ফলে কৃষি, বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি উত্তরোত্তর বাড়বে। কৃষি ব্যবস্থাতে গৌণ হয়ে যাবে কৃষকেরাই।

এটা গেল কৃষকদের কথা, এবার আসা যাক কৃষি ব্যবস্থায় যে মিডলম্যান থাকে, যাদের মারফত কৃষি পণ্যগুলো জমি থেকে সাধারণ ক্রেতার কাছে আসে, তাদের প্রসঙ্গে।  গোটা ব্যবস্থাতে কর্পোরেটরা যেহেতু সরাসরি কৃষকের থেকে ফসল কিনবে, এবং তারাই বীজ সার এসব বেচবে তাই কৃষক আর ক্রেতার মধ্যে এই মিডল ম্যানের জায়গাটা প্রতিস্থাপিত হবে কর্পোরেট এজেন্টদের দিয়ে। কৃষকের থেকে পূর্ব নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্যে ফসল কেনা এবং সেখান থেকে নিজেদের জন্য যথেষ্ট লাভ রেখে শহুরে ক্রেতাদের কাছে বড়ো বড়ো মল বা ডিজিটাল প্লাটফর্ম-এ সেগুলো বিক্রির মাধ্যমে ফুলে ফেঁপে উঠবে কোম্পানিগুলো। ফোড়ে বা মিডলম্যান সম্পর্কে আমাদের সাধারণ ধারণা খুব একটা ভালো না থাকলেও; গ্রামীণ আধা সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতিতে এই দালাল বা ফোড়েরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা চাষের মরশুমে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া, তাদের থেকে ফসল কেনা, সবটাই করে। এদের কাছে ফসল বেচার সময় কৃষকদের যেটুকু দরকষাকষি করার ক্ষমতা থাকে, আগামী দিনে মাইক্রোসফট, আইবিএম, ওয়ালমার্ট, রিলায়েন্সের মতো কোম্পানির কাছে ফসল বেচার সময় কি সেই ক্ষমতা আর থাকবে? চুক্তি চাষে যুক্ত কোম্পানিকে নতুন কৃষি আইনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়ে গেছে।

পরিশেষে এটাই বলা যায়, যে বিশাল সংখ্যার মানুষ আগে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করছিল, পেট চালাচ্ছিল, তাদের উপর নেমে আসবে বেকারত্বের ছায়া। অর্থাৎ মিডলম্যানদের সরিয়ে অল্প কিছু কর্পোরেটদের সুবিধার্থে যে কৃষি বিল পাশ করানো হয়েছিল সেটারই বাস্তবায়ন ঘটতে চলেছে।

কী হতে চলেছে?

Bayer, Corteva, Syngenta-এর মতো মুনাফা লোভী agribusiness সংস্থা গুলো Google , Microsoft-এর মতো বড়ো কোম্পানিগুলোর সাহায্যে নতুন একটা কৃষক বিহীন কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, যেখানে পণ্য সরবরাহের বিষয়টা থাকবে Amazon, Walmart-এর মতো সংস্থার হাতে। এক কথায় বলতে গেলে গোটা কৃষি ব্যবস্থাই হবে কর্পোরেটের দ্বারা এবং কর্পোরেটের জন্য যেখানে কৃষক এবং ক্রেতা উভয়ই গৌণ।

আর রাজনৈতিক নেতৃত্ব? এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা চিরকলের মত দালাল সুলভ, কারণ কর্পোরেট মার্কেটিং সিস্টেম-এর উপর তাদের কোনো রকম কর্তৃত্ব থাকবে না। গোটা বিষয় টা এক লাইনে বললে অনেকটা এরকমই দাড়ায় –

‘The links between humans and the land reduced to an AI-driven technocratic dystopia in compliance with the tenets of neoliberal capitalism’

আমরা এমন সময়ে বাস করছি, যখন ‘তথ্যই নতুন তেলের খনি’ ও ‘শিল্প উন্নয়নের’ পথে এটি নতুন পুঁজি উৎপাদনের জায়গা। ১৯৯১ এর পর ভারতের বাজার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ২৯ বছর পর আজ ভারতের বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ( প্রায় ১৪%)। ‘টেকসই উন্নয়ন’-এর ধারণা যে কতটা ভ্রান্ত, তা এখানেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ভারতের কৃষি ব্যবস্থার কাঠামোগত সমস্যা (জমির বণ্টন সংক্রান্ত)সমাধান না করে, পুঁজিনির্ভর প্রযুক্তির বিকাশ করে কৃষক বন্ধুদের স্বাধীন বিকাশ সম্ভব নয়; এই বক্তব্য আরো জোরদার হচ্ছে।

 

তথ্যসূত্র :

(১) https://off-guardian.org/2021/05/19/microsoft-vs-indian-farmers-agri-stacking-the-system/

(২) https://www.aljazeera.com/opinions/2021/2/5/the-big-tech-takeover-of-agriculture-is-dangerous

(৩) https://rupeindia.wordpress.com/2021/02/06/the-kisans-are-right-their-land-is-at-stake-part-3-of-3/

(৪) http://www.kisanswaraj.in/2021/05/05/asha-letter-to-goi-on-direction-partnerships-of-its-digital-push-by-ministry-of-agriculture/

(৫) https://www.financialexpress.com/industry/technology/what-is-digital-green-revolution-mukesh-ambani-lists-5-ways-data-is-the-new-soil/956549/

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *