পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ৮৪ বছর বয়সি রাজনৈতিক বন্দি স্ট্যান সামিকে দুই সপ্তাহ চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিল বোম্বে হাইকোর্ট। এই চিকিৎসার ব্যয়ভার সামি এবং তার পরিচিত জনেরা বহন করবেন বলে আদালতে কথা দিয়েছেন সামির আইনজীবী।
নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনের(UAPA) অধীনে স্ট্যান সামিকে ২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই একই অভিযোগে ও ভিমা কোরগাঁও মামলায় স্বামীর সাথে বন্দি আছেন আরও ১৫ জন মানবাধিকার কর্মী। গ্রেফতারের পর থেকে স্বামী তালোজা জেল হাসপাতালেই ছিলেন।
বিচারপতি এস এস শিন্ডে এবং এন.আর. এর বোরকার এর বেঞ্চ জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা যেন নভি মুম্বইয়ের কারাগার থেকে স্বামীকে শহরতলির বান্দ্রার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে এবং তা যেন তারা দিনের বেলায় করেন।
সামির আইনজীবী মিহির দেশাই তাঁর জামিন ও চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। তারপরই তড়িঘড়ি এই নির্দেশ দিল আদালত।
এর আগে সামি আদালতকে জানিয়েছিলেন তিনি সরকারি জেজে হাসপাতালে ভর্তি হতে চান না. কারণ , সেখানে তিনি দুবার ভর্তি হয়েছেন, কিন্তু কোনো চিকিৎসা হয়নি। তিনি বলেন, ‘মরবো তবু জেজে হাসপাতালে যাব না’।
সামি গেফতারিতে সরকার, ব্যাপক ভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। সম্প্রতি, ঝাড়খণ্ড জনধিকার মহাসভা, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মানবাধিকার ও সমাজ কর্মীদের যৌথ মঞ্চ, মহারাষ্ট্র সরকারকে অবিলম্বে স্টান স্বামীর জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে আদালত নির্দেশ দিলেও আপত্তি করেন এনআইএ ও মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবীরা। তাঁরা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ সরকারের বহন করার কথা নয়। তখন সামির আইনজীবী জানান, সেই খরচ সামি নিজে ও ঘনিষ্ঠরা বহন করবেন।
বোম্বে হাই কোর্ট সামির সহকর্মী, ফাদার ফ্রেজিয়ারকে তার সাথে নিয়মিত হাসপাতালে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে(হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী)
২১ মে, সামি আদালতকে বলেছিলেন যে তালোজা জেলে বন্দি থাকাকালীন তাঁর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ধারাবাহিক ভাবে খারাপ হয়েছে।