পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংসদ বহির্ভূত লড়াইয়ের কথা বলছেন সর্বত্র। তারা বলছেন সাভারকারের ইন্দিয়া আর ভগৎ সিং এর ভারত আজ মুখোমুখি। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন ,১৯২৪ সালে বিজেপির গুরু দামোদর সাভারকার ‘ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আর লড়ব না’ এই মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন ও অন্য দিকে ১৯৩১ সালে বিপ্লবী ভগৎ সিং মাথা উঁচু করে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়লেন সহযোদ্ধা রাজগুরু ও সুখদেবের সাথে। মিছিলের আহ্বায়কেরা আরও বলছেন যে “এখন পক্ষ নেওয়ার সময়, তাই নিরপেক্ষ শব্দটা বাতিল হোক। আমরা পক্ষপাতদুষ্ট হব। সমঝোতা আর সমন্বয়ের সংস্কৃতি ধংস করে আমরা বেছে নেব সংঘর্ষের পথ”।
তাঁরা শুধু সাভারকারের রাজনীতির ধারক বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথাই বলছেন না, তারা অন্যান্য সংসদীয় দলগুলির বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। তারা বলছেন আজকের বিজেপির সমস্ত আর্থিক নীতিই পূর্বের সরকারগুলির ধারাবাহিকতা। পাশাপাশি তাঁরা বলছেন, “বিজেপি-আরএসএস পরিচালিত ফ্যাসিবাদী মোদী সরকার দেশি-বিদেশি কর্পোরেট মুনাফার স্বার্থে নয়া শ্রম আইন চালু করে কেড়ে নিচ্ছে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারটুকু। কোম্পানিগুলির কাছে বিক্রি হচ্ছে আমাদের যাবতীয় সম্পদ। কিন্তু সেই সঙ্গে একথাও স্পষ্ট হয়েছে যে অন্যান্য সংসদীয় দলগুলির তুলনায় ফ্যাসিবাদী বিজেপি দলটি অনেক সুসংগঠিত, হিংস্র ও বেপরোয়া। সেই কারণেই দেশি বিদেশি কর্পোরেট পুঁজিপতিরা বিজেপি দলটির উপরেই তাদের বাজি ধরেছে, কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে দলটিকে ক্ষমতায় আনতে ও টিকিয়ে রাখতে”।
২৩ মার্চ ভগৎ সিং-রাজগুরু-সুখদেওর শহিদ দিবসে দুপুর ১২টা রামলীলা ময়দান থেকে শুরু হবে এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী মিছিল।