আরও একটা আন্দোলন এড়াতে শ্রম আইনের বিধিতে চমক দিতে চায় কেন্দ্র
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: সিএএ-এনআরসি বিরোধী তীব্র আন্দোলনের ফলে এনআরসি নিয়ে মোদি সরকার এখন তেমন কোনো পদক্ষেপ করছে না, সিএএ-র বিধি তৈরিও ক্রমেই পিছিয়ে দিচ্ছে। অন্য দিকে চলমান কৃষক আন্দোলনের ফলে নয়া কৃষি আইন দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখার প্রস্তাব সরকার, কার্যত কৃষি আইন বিশ বাঁও জলে। তেমনই নয়া শ্রম কোডের বিরুদ্ধে পূর্বের শ্রমিক ধর্মঘট ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের বড়ো মাপের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্তের ফলে সিঁদুরে মেঘ দিখছে কর্পোরেটের হাতের পুতুল বিজেপি। তার জেরেই শ্রম আইনের বিধিতে নানা চমক দেখাতে চলেছে তারা। চলতি সপ্তাহেই বিধিটি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেছেন, প্রস্তাবিত শ্রম কোডগুলি অনুযায়ী কম্পানিগুলিতে এক সপ্তাহে ৪৮ঘণ্টার কাজের সময়সীমা একই থাকলেও, তারা চাইলে সপ্তাহে মাত্র চারদিন কাজ করাতে পারবে শ্রমিকদের দিয়ে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে মোট কাজের সময়, অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টা ঠিক রাখতে রোজ ১২ঘণ্টা ডিউটি হবে আর বাকি তিনদিন শ্রমিকের ছুটি থাকবে।
অপূর্ব চন্দ্র আরও বলেন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং জম্মুকাশ্মীরের সাথে একযোগে শ্রম কোড নিয়ে আলোচনাও হয়েছে, রাজ্যগুলি এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য-স্তরের শ্রম কোডের জন্য তাদের খসড়া বিধি প্রণয়ন করবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন রাজ্য বিমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। অর্থাণ এক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যর চেয়ে স্বাস্থ্যবিমার বন্দোবস্তকেই এগিয়ে নিতে চায় কেন্দ্র।
শ্রম মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এক সাথে চারটি শ্রমবিধি কার্যকর করার পরিকল্পনা করেছিল। ৪৪টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে মজুরি, শিল্প সম্পর্ক, সামাজিক সুরক্ষা এবং ওএসআইচ-এর চারটি বিস্তৃত কোডে একত্রিত করার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।