পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পপ গায়িকা রিহানার পালটা লতাকে দিয়ে টুইট করিয়ে ব্যর্থতারই উদ্যাপন করছে মোদি সরকার।
চলমান কৃষক আন্দোলনের বিশেষ করে হরিয়ানার বেশ কয়েকটা অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যাবস্থা কেটে দেওয়া নিয়ে টুইট করেন রিহানা। এই বিষয় টুইট করার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বর্ণবাদী, নারীবিদ্বেষীদের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়।
রিহানার টুইটের পরেই পাশ্চাত্যের আরও কয়েকজন তারকা কৃষকদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থানবার্গ এবং পর্ন অভিনেত্রী মিয়া খালিফা।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া হ্যাশট্যাগ ও মন্তব্যগুলির বিরুদ্ধে গত বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে, ভারতের বিদেশমন্ত্রক সতর্কবার্তা জারি করে।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থন বৃদ্ধির ফলে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের সমস্তরকম প্রচার বিফলে যাচ্ছিলো, তাই সরকার নামী ফিল্ম ও ক্রীড়া জগতের ব্যক্তিদের দিয়ে একটি টুইটার প্রচার চালাতে শুরু করে। তারা বিদেশমন্ত্রক দ্বারা নির্মিত হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করছেন। তাদের মধ্যে একজন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার, যিনি কানাডার নাগরিক।
প্রাক্তন ক্রিকেটর সচিন তেন্ডুলকার যখন এই টুইটার প্রচারে যোগ দেন, তখন অনেকেই তার নাগরিক সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০১২ সালে তিনি যখন রাজ্যসভার সদস্য, তখন ৪০০টি সংসদীয় অধিবেশনের মধ্যে তিনি মাত্র ২৯টিতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার ছয় বছরের মেয়াদে তিনি ৮৬.২৩ লাখ টাকা বেতন পেয়েছিলেন।
মোদী সরকারের এই টুইটার যুদ্ধ যে একটি ব্যর্থ প্রয়াস, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। রিহানা এবং থানবার্গের বিশ্বব্যাপী জনসমর্থন ও প্রভাবের কাছে লতা মঙ্গেশকর, তেন্ডুলকর ও অক্ষয় কুমারদের জনসমর্থন অতি নিম্ন। তাদের পরিচিতি কেবল এই দেশ ও বড়োজোর এই উপমহাদেশে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সরকারের ইমেজে ধাক্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে রিহানার টুইট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। জাতীয় স্তরের তারকাদের দিয়ে তা প্রতিহত করা মোদি সরকারের পক্ষে অসম্ভব। তাদের মধ্যে যারা আন্তর্জাতিক, সেই ক্রিকেটাররাও এমন একটি খেলার সঙ্গে যুক্ত, যা দুনিয়ার মাত্র ১০-১২টি দেশ খেলে।