‘রাস্তা বানাতে দিচ্ছে না দেশদ্রোহীরা’: জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগে ক্ষুব্ধ কর্নাটক হাইকোর্ট
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পশ্চিমঘাট পর্বতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ৪এ নম্বর জাতীয় সড়ক। কর্নাটক থেকে গোয়াগামী সেই রাস্তা চওড়া করার কাজ করছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবেশ নষ্টের কারণ দেখিয়ে তাতে বাধা দিচ্ছে ‘দেশদ্রোহী’রা। কর্নাটক হাইকোর্টে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৮৬ সালের পরিবেশ রক্ষা আইন, শুধু পরিবেশকে রক্ষা করার জন্যই তৈরি হয়নি, ‘বিদেশি শক্তি’র নির্দেশে তৈরি হয়েছে। এমনকি যে সব অসরকারি সংগঠন ৪এ জাতীয় সড়ক চওড়ার কাজে পরিবেশের কারণ দেখিয়ে বাধা দিচ্ছে, তাদের পেছনে রয়েছে ‘বিদেশি শক্তিরা’। কর্তপক্ষের এই দাবি শুনে অবাক এবং বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছে হাইকোর্ট।
রেগেমেগে কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভয় একা বলেন, “কর্তপক্ষের বক্তব্য এবং রাজ্য সরকারের কাজর ধরনে আমরা জোর ধাক্কা খেয়েছি। তারা আদালতকে বিশ্বাস করতে বলছেন, যে পরিবেশ রক্ষা আইন তৈরি হওয়ার গোটা প্রক্রিয়াটা বিদেশি শক্তির মদতে হয়েছিল”। একা বলেন, “হাইকোর্টে আমি ১৭ বছর ধরে বিচার করছি। এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে এমন জঘন্য বক্তব্য বলতে শুনলাম”।
মামলাকারীদের বক্তব্য, কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রক, সড়ক চওড়া করার অনুমতি দিয়েচে, অথচ তাতে পরিবেশে কী প্রভাব পড়বে, তা যাচাই করেনি। তারা বলছেন, পরিবেশ রক্ষা আইন অনুযায়ী, পরিবেশে প্রভাব বিশ্লেষণ না করে, কোনো প্রকল্পকে ছাড় দেওয়ার অধিকার কেন্দ্রের নেই।
অন্যদিকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৮৬ সালের আইন বিদেশি শক্তির মদতপুষ্ট করাণ, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানব পরিবেশ বিষয়ক ১৯৭২ সালের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আইন তৈরি হয়েছিল। বিদেশি শক্তির মদতপুষ্ট হওয়ার জন্যই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের মতো বেশ কিছু অসরকারি সংগঠন ওই আইনে মামলা করছে। তাদের দাবি বিদেশি অর্থ পেয়ে যারা জাতীয় সড়ক তৈরির বিরোধিতা করছে, তারা ‘দেশদ্রোহী’। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক নীতি প্রকল্পকে এরা সক্রিয় ভাবে আক্রমণ করে চলেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এরা সকলে ‘হাওয়ালা’য় টাকা পায়।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতের ২০ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন সংরক্ষিত অরণ্য দখল করে রেখেছে। তারাই বন কেটে রাস্তা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে। এসব বেআইনি দখলদাররা ‘অরণ্যের অধিকার আইন’-এর বলে সুরক্ষা পাচ্ছে, কারণ তারা আদবাসী।
বিচারপতি একা, কর্তপক্ষর এই বক্তব্য নিয়ে তদন্ত করে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি। তারপরই ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে চেয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
কৃষকরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বেয়োনেট হোক যতো ধারালো,
কাস্তে টা ধার দিও বন্ধু।
শের আর বোম্বে হোক ভালো
কাস্তে টা শান দিও বন্ধু।