নিজস্ব সংবাদদাতা: বেতন পাননি ১১ মাস। চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২ মাস ১০ দিন বাড়তি কাজ করানো হয়েছে। তারপর আচমকা ছাঁটাই। প্রতিবাদে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের চিন্তামণি কর পাখিরালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা । তাঁদের দাবি বিগত ১২/১৩ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁরা, ১১ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাননি, এরই মধ্যে তাঁদের কাজ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর। তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আন্দোলনরত কর্মীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ‘কেউ কাজ হারাবে না’ বলার পরেও কী করে তারা কাজ হারাচ্ছেন। তাদের চুক্তি ছিল ২০১৯ অক্টোবর থেকে ২০২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তা সত্ত্বেও তাদের দিয়ে আরো দু মাস দশ দিন বেশি কাজ করানো হয়। তাঁরা বলেন, এই কাজটি সরকারের অধীন, সরকারের আওতায় কাজ করার পরেও কীভাবে এই সময় তাদের কাজে আসতে নিষেধ করতে পারে বন দফতর।
শোনা যাচ্ছে কাজে যোগ দিয়েছেন ১৩ জন ‘বন সহায়ক’ কর্মী। বন দফতরের এই নিয়োগের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
আন্দোলনরত ১২জন কর্মীদের যেই এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল, পরে সেই এজেন্সিকে বাতিল করে তাঁদের অন্য এজেন্সির মাধ্যমে রাখা হয়। এই অস্থায়ী কর্মী ছাড়াও দফতরে আছে স্থায়ী ৩জন কর্মী, যারা কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ না করলেও ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন এই ১২ জন অস্থায়ী কর্মী। এতো কিছুর পরেও তাদের হঠাৎ কাজ থেকে চলে যেতে বলায় তাঁরা অবাক ।
ধরনা বিক্ষোভ চলাকালীন একবার বারুইপুর রেঞ্জের আধিকারিক তাদেরকে ধরনা, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিতে বলে, কিন্তু আন্দোলনরত কর্মীরা সাফ জানিয়ে দেয় যত দিন না তারা বকেয়া বেতন পাচ্ছেন ও তাদেরকে কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে ততদিন তারা এই আন্দোলন বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।