পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: পুলিশ বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী নয়া আইনের বিরুদ্ধে ৭-৮ অক্টোবর তিউনিসিয়ান সংসদের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সংগঠন তিউনিসরেজিস্ট্যান্ট। সে দেশের পুলিশকে যথেষ্ঠ ক্ষমতা দিয়ে এমনিতেই রয়েছে বিভিন্ন আইন। পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে তিউনিসিয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিক্ষোভকারীদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, দমন-পীড়ন এবং সামাজিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। তিউনিশিয়ার আইনজীবী সমিতি নিজেদের বিবৃতিতে এই বিলের বিরোধিতা করেছে, তাদের আশঙ্কা এই আইন অনুমোদিত হলে ব্যাহত হবে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার।
প্রস্তাবটি কয়েক মাস আগেই উপস্থাপন করা হলেও মহামারি পরবর্তী শেষ সংসদ অধিবেশনেই আলোচনা করে পাশ করা হয়। ৭ অক্টোবর মন্ত্রীদের বিক্ষোভ দেখাতে সংসদের প্রবেশপথের সামনে রাস্তা অবরোধ করে জনগণ। অবস্থান ভাঙতে বিক্ষোভকারীদের লাঠি, ব্যাটন, লাথি মারে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় চারজনকে। বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ না হয়ে পুলিশি আক্রমণকে প্রতিহত করে এবং তাদের চারজনের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে। পুলিশের এই হিংসাত্মক আগ্রাসন মিডিয়ার প্রচারে বুমেরাং হয়ে যাওয়ায় কয়েক ঘন্টা পরেই ধৃতদের মুক্তি দেয় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের এই ঘটনা নয়া আইনের বিপদ সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সম্ভাবনা তিউনিসিয় জনগণকে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে আটকাতে পারেনি বরং আরও বেশি যুবসম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করেছে। বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট রাজনৈতিক কর্মীরা ছাড়াও অসংগঠিত যুবকেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। অন্যান্য দেশে এই ধরনের আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সাধারণ বিষয় হলেও, তিউনিশিয়ায় ক্ষেত্রে তা অভূতপূর্ব।