পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: সিলিকন ভ্যালির টেক ধনকুবের এলন মাস্ক এবং অ্যালফাবেটের দুই প্রতিষ্ঠাতা সার্জে ব্রিন ও ল্যারি পেজকে সরিয়ে বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম ব্যক্তি হয়েছেন বেশ কিছুদিন আগেই। এবার নয়া কীর্তিসাধন করলেন ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানি। আইআইএফএল ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২০ অনুযায়ী মার্চ মাসে লকডাউনের পর থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি এবং চেয়ারম্যান মুকেশের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ২,৭৭,৭০০ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৬,৫৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এই নিয়ে টানা ন’বছর ভারতের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা তাঁর মাথায়।
মুকেশ যে বিশ্বের ধনীতম ৫ ব্যক্তির তালিকায় থাকা একমাত্র ভারতীয়, তাই নয়, তাঁর ঠিক পেছনে থাকা পাঁচ ধনকুবেরের সম্মিলিত সম্পত্তির চেয়েও তাঁর সম্পত্তি বেশি। তিনি গোটা এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ধনী মানুষ। হুরুন ইন্ডিয়ার হিসেব অনুযায়ী মুকেশের সম্পত্তি গত এক বছরে ৭৩% বেড়েছে।
আম্বানির সম্পদের মূল্য বেড়েছে ৮৫%
করোনা-অতিমারির শুরুতে মুকেশ অম্বানির সম্পত্তির মূল্য ২৮% কমে গিয়েছিল। তারপর থেকে রিলায়েন্স গোষ্ঠী নানা ভাবে বাজার থেকে টাকা তুলতে শুরু করে। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগুল, সিলভার লেক ও অন্যান্য সংস্থা জিও ও রিলায়েন্স রিটেইলে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে। সব মিলিয়ে মাত্র ৪ মাসে মুকেশের সম্পদের মূল্য ৮৫% বৃদ্ধি পায়।
লকডাউন চলা সত্ত্বেও রিলায়েন্সের মোট শেয়ার দর ১০ লক্ষ কোটি পার করেছে এবং মুকেশের সম্পদ বেড়েছে ৭৩ শতাংশ।
বস্তুত শুধু মুকেশ নন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে সংবাদে প্রকাশ পেয়েছে গোটা লকডাউন পর্যায়ে বিপুল লাভ করেছেন দুনিয়া এবং ভারতের ধনী ব্যবসায়ীরা। এই সময়ে ভারত সহ গোটা পৃথিবীতে বহু নতুন বিলিওনেয়ারের জন্ম হয়েছে। এই সময়েই বৃহৎ পুঁজিপতিদের স্বার্থে একের পর এক বেসরকারিকরণ ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের শাসক শ্রেণি। গোটা দুনিয়ার ছবিটাও একই। সব মিলিয়ে যদি কেউ ভাবেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গুরুত্বকে বাড়িয়ে দেখানো এবং দুনিয়া জুড়ে রোগ সারাতে লকডাউনের মতো অভিনব পদক্ষেপ করাটা পুঁজিপতিদের একটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়, তাহলে সেই ভাবনাকে অমূলক বলা যায় না। অথচ এই সময়ই চূড়ান্ত দুর্গতির মধ্যে পড়েছেন আমজনতা।