৩০০ শ্রমিক থাকলেও বিনা অনুমতিতে ছাঁটাই, কারখানা বন্ধ আইনসিদ্ধ: কেন্দ্রের নতুন শ্রম কোড বিল
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: এতদিন কোনো সংস্থায় ১০০-র বেশি শ্রমিক থাকলে ছাঁটাই বা কারখানা বন্ধ করে দিতে হলে সংস্থার কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হত। শনিবার লোকসভায় কেন্দ্র যে নতুন শ্রম কোড বিল পেশ হয়েছে, তাতে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, কোনো রাজ্য সরকার চাইলে সংখ্যাটা আরও বাড়াতে পারে।
৪৪টি্ শ্রম আইনকে চারটি কোডে বাঁধতে চাইছে সরকার। চারটির মধ্যে মজুরি সংক্রান্ত কোডটি গত বছর পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে। বাকি তিনটি কোড বিল(সামাজিক সুরক্ষা, শিল্প সম্পর্ক এবং পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ বিষয়ক)লোকসভায় পেশের পর শ্রম সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। শনিবার সেই তিনটি বিল লোকসভায় নতুন করে পেশ করেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।
বিল পেশ করে শ্রমমন্ত্রী বলেন, স্থায়ী কমিটি যে ২৩৩টি সুপারিশ করেছিল, তার মধ্যে ১৭৪টি সরকার গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ৯টি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
এই নতুন কোডবিলগুলিতে রাজ্য সরকারগুলির হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কারখানাগুলিতে কর্মী নিয়োগ, ছাঁটাই, কাজের সময় নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে নিজের মতো করে বিধি তৈরি করতে পারবে। শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার অধিকারে বিধিনিষেধও আরোপ করতে পারে। পাশাপাশি নতুন কোড বিলে সরকার দেশের সকল শ্রমিকের জন্য সামাজিক সুরক্ষা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্র এবং গিগ কর্মীরাও(উবের, জোমাটোর মতো তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা ক্ষেত্রের শ্রমিকরা)থাকবে। ধাপে ধাপে তাদের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
বিল পেশের পর কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, যেহেতু এই বিলে বড়ো রকমের পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তাই সরকারের উচিত ছিল বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আরও বেশি আলোচনা করা। অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর বলেন, বিল পেশের আগে বিলগুলি পড়ার জন্য সাংসদদের নিয়মমাফিক অন্তত দুদিন সময় দেওয়া উচিত ছিল।
Thanks