Home খবর রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সপ্তাহ ৭০টি সংগঠনের
0

রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সপ্তাহ ৭০টি সংগঠনের

রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সপ্তাহ ৭০টি সংগঠনের
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: আহ্বান জানিয়েছিল পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ। দিনে দিনে সেই আহাবিনকে সমর্থন জানিয়েছে দেশের ৭০টিরও বেশি সংগঠন এবং বহু ব্যক্তি। সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি শাসনে দেশবাসীর নাগরিক অধিকার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা। প্রতিবাদ করলেই ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দেওয়া হচ্ছে। ভিমা কোরেগাঁও মামলায় মিথ্যেঅভিযোগে বন্দি করে রাখা হয়েছে ১২ জন শিক্ষাবিদ, কবি, পেশাজীবী, বিদ্বজ্জনকে। অথচ ঘটনার মূল অভিযুক্তরা জেলের বাইরে। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মীকে। এই অবস্থায় নাগরিক অধিকার রক্ষা ও ভিমা কোরেগাঁও মামলার ১২ জন বন্দি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ২ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিবাদ সপ্তাহ পালনের ডাক দিয়েছে সংগঠনগুলি। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল মানবাধিকার কর্মী সুধা ভরদ্বাজ, গৌতম নাভালখা, ভারাভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা ও ভেরনন গঞ্জালভেজকে। অন্যদিকে ৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশের হত্যার ৩ বছর পূর্ণ হতে চলেছে।

সংগঠনগুলি তাদের আহ্বানে বলেছে, দি্ল্লি ও অসমের ২৪ জন সিএএ-এনআরসি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেফতার করে ইউএপিএ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে বেআইনি ভাবে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিলাম করা হয়েছে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে। অন্যদিকে বহু উকিল, ছাত্র, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী, শিক্ষাবিদদের ডেকে পুলিশ হেনস্থা করছে। তাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে।

এই সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদের অন্যতম অঙ্গ হলেন প্রশান্ত ভূষণ। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দীর্ঘদিনের একজন দুর্নীতি বিরোধী সমাজকর্মী। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ও আদালতের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায়, তাঁকে আদালত অবমাননায় দোশী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত বহু সাংবাদিকও। অসংখ্যা কাশ্মীরীকে গোলমাল করতে পারে, এই সম্ভাবনায় বছরের পর বছর বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ সব থেকেই বোঝা যায়, দেশে নাগরিক অধিকার এখন কোন অবস্থায় রয়েছে।

একক সংগঠন ছাড়াও বহু মহিলা সংগঠন এবং ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর পিপলস মুভমেন্ট, রাইট টু ফুড ক্যামপেইন, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অরগাইজেশনসের মতো বেশ কিছু জাতীয় স্তরের নেটওয়ার্কও এই প্রতিবাদ সপ্তাহ পালনের ডাককে সমর্থন করেছে।

ছবি: কাউন্টারকারেন্টস ডট ওআরজি

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *