ওড়িশার কন্ধমাল জেলায় টানা ৭দিন বনধ ডাকল মাওবাদীরা
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: গত মাসে ওড়িশার কন্ধমাল জেলার সিরলা জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়। মাওবাদীদের দাবি ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে তাদের। ৫ জনের মধ্যে ২জন ছিল মাওবাদীদের মহিলা সদস্য।
সেই ঘটনার পর এই প্রথম মাওবাদীদের ব্যানার দেখা গেল জেলায়। রবিবার সকালে জেলার নুয়াগাও থানার কাঞ্জামেন্ডি চক এলাকায় একটি লাল ব্যানার দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে সিপিআই(মাওবাদী)-র কেকেবিএন ডিভিশনের পক্ষ থেকে(কন্ধমাল-কালাহান্ডি-বৌধ-নয়াগড়)কন্ধমালে ১৮-২৪ আগস্ট বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ব্যানারে নিহত কয়েকজন মাওবাদীর নামও লেখা রয়েছে।
দলীয় সদস্য বা সমর্থকদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় বনধ মাওবাদীরা ডেকেই থাকেন। কিন্তু টানা সাতদিনের বনধের ডাক অভূতপূর্ব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত কয়েক মাসে দেশে এবং রাজ্যে করোনা প্রতিরোধে সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউনের পথ নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারগুলি। পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তা সফল করানো হয়েছে। মাওবাদীরা সেই একই ধরনের পথ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে কন্ধমালে নিজেদের জনসমর্থন ও শক্তি দেখাতে চাইছে বলেই মনে করছে প্রশাসন।
স্বাভাবিক ভাবেই এই সাতদিনের বনধ ব্যর্থ করতে সবরকম ভাবে চেষ্টা করবে ওড়িশা সরকার। সেক্ষেত্রে মাওবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।