পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ভিমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানি বাবুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কর্মসূচি নেওয়ায় ভগৎ সিং ছাত্র একতা মঞ্চ, আইসা এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন করার মামলা রুজু করলো দিল্লি পুলিশ। কোভিড অতিমারির কারণে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে দেশ জুড়ে। সেই আইনকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রদের উপর মহামারি আইন সহ তিনটি আইনে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
অধ্যাপক হানি বাবু ‘অ্যালায়েন্স অফ সোশ্যাল জাস্টিস’ এর কোঅর্ডিনেটর এবং ‘জয়েন্ট অ্যাকশন ফ্রন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক এডুকেশন’- এর সক্রিয় সদস্য। তিনি গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও জি এন সাইবাবার ‘ডিফেন্স কমিটি’ এবং ‘রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি’কমিটির হয়েও কাজ করেন। গত ২৮ জুলাই এনআইএ হানি বাবুকে নকশাল কর্মকাণ্ড, মাওবাদী মতাদর্শ প্রচার এবং এলগার পরিষদ মামলায় ‘সহ-ষড়যন্ত্রকারী’ হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে।
হরিয়ানার মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস হ্যানি বাবুর গ্রেফতারির বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে প্রশ্ন করা হয়েছে অসীমানন্দ এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ল্যাপটপগুলি থেকে বোমা হামলার ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিলো, সেগুলি কীভাবে হারিয়ে গেল। অথচ এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেফতার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের কম্পিউটার/ল্যাপটপ থেকে পাওয়া ‘প্রমাণ’ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও তারা জেলে বন্দি। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক গ্রেফতাররগুলি স্পষ্ট করে দেয় যে এই তদন্তকারী সংস্থা আসলে গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারকর্মী, সংখ্যালঘু, দলিত এবং আদিবাসীদের রাষ্ট্রদ্রোহী তকমায় দাগিয়ে গ্রেফতারের জন্যই তৈরি।