কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে পরপর জঙ্গি কর্মসূচি ঘোষণা কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: শ্রম আইন শিথিল থেকে বেসরকারিকরণ। আগাম অবসর দেওয়া থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি- একের পর এক শ্রমিক বিরোধী, জনবিরোধী কর্মসূচি নিয়ে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই প্রক্রিয়াকে বিজেপি সরকার গতিশীল করলেও, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৯৯১ সালের কংগ্রেস সরকারের আমল থেকেই। বারবার আন্দোলন করলেও শেষ পর্যন্ত আপসের পথেই খুশি থেকেছে দেশের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি।
কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। অর্থনৈতিক মন্দা, করোনা সংকটে দেশের শ্রমজীবী জনগণ গভীর সংকটে। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলিরও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। এই অবস্থায় একের পর এক জঙ্গি কর্মসূচির পরকল্পনা করছে তারা। কিছুদিন আগে কয়লা ব্লক নিলামের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে কয়লা ক্ষেত্রে ধর্মঘট হয়েছে। এবার ৯ আগস্ট ‘ভারত ছাড়ো দিবস’-কে ‘ভারত রক্ষা দিবস’-এ পরিণত করার ডাক দিল ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। স্বাভাবিক ভাবেই এতে যোগ দেয়নি আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন বিএমএস।
ওই দিন গোটা দেশের সমস্ত কর্মক্ষেত্র, শিল্প কেন্দ্র, জেলা সদর, গ্রামাঞ্চলে সব ধরনের জঙ্গি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তারা।
আগামী ১৮ আগস্ট কয়লা ক্ষেত্রে ফের ধর্মঘট। ওইদিন অন্যান্য সব ক্ষেত্রের শ্রমিক, বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে সংহতিমূলক জঙ্গি কর্মসূচির আহ্বান করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলি জানিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি ধর্মঘটের পথে হাঁটবেন তারাও। এই মর্মে খুব শিগগির নোটিশ দেওয়া হবে সরকারকে। ৯৯ শতাংশ শ্রমিকই ধর্মঘটের পক্ষে। দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকেও বিদেশি পুঁজির হাতে তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি, আশা, মিড ডে মিল প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকল্পের শ্রমিকরা আগামী ৭ ও ৮ আগস্ট দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
পাশাপাশি রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে লাগাতার কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। রেলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ফেডারেশন খুব শিগগির প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করবে।