পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মহামারিবিদ ও পরিসংখ্যানবিদরা কোভিড ১৯-এর মৃতের সংখ্যার যে সম্ভবনার কথা বারবার বলেছেন, তার কোনোটিই মেলেনি। তাদের দেওয়া এ পর্যন্ত সম্ভাব্য মৃত্যুর ধারেকাছে পৌঁছয়নি মৃতের সংখ্যা। যদিও সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য লকডাউন ইত্যাদি পদক্ষেপ নিয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। তার জেরে কর্মহীন হয়েছেন, হয়ে চলেছেন বহু মানুষ।
এ সবের ফল মারাত্মক হতে চলেছে বলে জানাল ব্রিটিশ অসরকারি সংস্থা অক্সফ্যাম। সম্প্রতি তাদের এক রিপোর্টে অক্সফ্যাম বলেছে, গত বছর অনাহারে দিন কাটিয়েছেন দুনিয়ার ১৫ কোটি মানুষ। এ বছর সেই সংখ্যাটা বেড়ে হতে পারে ২৭ কোটি। দুনিয়ার যে দশটি দেশ/অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বেশি অনাহারে থাকবেন, সেগুলি হল- ইয়েমেন, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল, ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও হাইতি।
তবে ক্ষুধার ভরকেন্দ্র হতে চলেছে তিনটি মধ্যম আয়ের দেশ। ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই রিপোর্টে ভারত সম্পর্কে বলা হয়েছে, লকডাউনে যাতায়াতের অসুবিধা থাকায়, বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফসল কাটতে যেতে পারেননি ফলে অনেক ফসল মাঠে পচছে। ব্যবসায়ীরা আদিবাসীদের কাছে পৌঁছতে না পারায় বনজ সম্পদ কেনাবেচাও বন্ধ হয়ে রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালে প্রতিদিন বিশ্বে ২৫০০০ মানুষ অনাহারে মরেছে। এ বছর সংখ্যাটা ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে।
সবচেয়ে খারাপ হবে মেয়েদের অবস্থা
খাদ্য উৎপাদনের কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মহিলারা। খিদের জ্বালায় সবচেয়ে বেশি জ্বলবেন তারাই। নারী প্রধান পরিবারগুলি সবচেয়ে দুর্দশায় পড়বে। যৌন অসাম্য ও নিপীড়নের কারণে এমনিতেই দারিদ্র্যের ধাক্কা বেশি সামলাতে হয় মেয়েদের।একই কাজে তারা ছেলেদের তুলনায় কম মজুরি পান, তাদের হাতে জমির মালিকানাও অনেক কম। অন্যদিকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের একটা বড়ো অংশ মহিলারা।