সংস্থা তুলে দেওয়ার দাবি, আমাজনের মালিক জেফ বেজোসের বাড়ির সামনে গিলোটিন রেখে প্রতিবাদ শ্রমিকদের
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তি তিনি। আমাজনের কর্ণধার। সেই জেফ বেজোসের ওয়াশিংটন ডিসির বাড়ির সামনে গিলোটিন বসিয়ে অভূতপূর্ব প্রতিবাদে সামিল হলেন শ্রমিকরা। তাদের দাবি, সংস্থাকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।
ফরাসি বিপ্লবের সময় প্রতিবাদীদের গলা কেটে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত গিলোটিন ব্যবহার করে। বিপ্লবের পর রাজা ষোড়শ লুইকেও গিলোটিনে হত্যা করেছিল বিপ্লবীরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের ওপর নজর রাখার জন্য পুলিশকে লেলিয়ে দিচ্ছে সংস্থা। তাদের ইউনিয়ন করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। মুনাফার জন্য শ্রমিকদের মধ্যে জাতিবিদ্বেষী আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। জাতিবিদ্বেষী কুৎসা ছড়িয়ে শ্রমিক নেতা ক্রিস স্মলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আমাজনের স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের ওয়ারহাউজে গত ৫ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন স্মল। শ্রমিকদের যথেষ্ট পিপিই না থাকার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সংগঠিত করে ওয়াকআউট করেন স্মল। সে জন্য তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে হয়। সংস্থা বিবৃতি দেয়, স্মল শারীরিক দূরত্বিধি না মেনে অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছিলেন বলেই তাকে বরখাস্ত করে হয়েছে।
বেজোসের বাড়ির সামনে শ্রমিকদের একটি ছোটো দল ধরনায় বসেছিল। এক মহিলা শ্রমিককে দেখা য়ায়, মেগাফোনে বলছেন, ‘যখনই ওরা আতঙ্কিত বোধ করে এবং আমরা চুপ করে থাকি, তখনই আস্তিন থেকে ছুরিগুলো বেরিয়ে পড়ে’।
আন্দোলনকারীরা একটি ডিজিটাল ফ্লায়ার প্রকাশ করেছেন। তাতে তারা বলেছেন, ‘গালাগাল ও মুনাফাবাজির শেষ হোক। পুলিশ, কারাগার ও আমাজনকে তুলে দাও’। আরও বলেছেন, ‘বর্তমানকে উচ্ছেদ কর, পুনর্গঠন কর ভবিষ্যতকে’।
এদিনের আন্দোলনকে শ্রমিকরা অভ্যুত্থান বলে চিহ্নিত করছেন।
নিজের শ্রমিকদের চূড়ান্ত দুর্দশায় রাখলেও আমেরিকার চলতি ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সপক্ষে গলা ফাটিয়েছেন বেজোস। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগে সামিল করেছেন আমাজনকেও। যদিও কোভিডের জন্য লকডাউনের মধ্যে আমেরিকায় যে সব শ্রমিক ধর্মঘটগুলি হয়েছে, তার মধ্যে আমাজনেরটাই ছিল সবচেয়ে সর্বাত্মক ও সফল।