Home খবর মানেসরের মারুতি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, লুকোচ্ছে কর্তৃপক্ষ
0

মানেসরের মারুতি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, লুকোচ্ছে কর্তৃপক্ষ

মানেসরের মারুতি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, লুকোচ্ছে কর্তৃপক্ষ
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মারুতির মানেসরের কারখানায় ক্রমেই বাড়ছে করোনার দাপট। একের পর এক শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন আর সেই খবর লুকিয়ে রাখছে সংস্থার কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের কথা না ভেবে তাড়াহুড়ো করে লকডাউন ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। লকডাউন তোলার সময়ও তাদের কথা ভাবা হয়নি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।

গাড়ি শিল্প চালু হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহেই মানেসরের কারখানা থেকে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর আসে। এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা বড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। যদিও সংস্থার চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যাটা আরও বেশি।   

এর মধ্যে এক নতুন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সংস্থার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে এক এজেন্সিকে। সেই এজেন্সির ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৭ জুন এই খবর মেলে। তারপর তাদের নিভৃতবাসে রাখা হয়। পরেরদিন মেডিকেল টিমন তাদের দেখতে এলে, দেখা যায় তারা সকলেই নিখোঁজ।সংস্থার কর্তৃপক্ষ নির্লজ্জ ভাবে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ওই কর্মীরা কেউ মারুতির কর্মী ছিলেন না, তাদের ভাড়া করা হয়েছিল, তবে তারা কারখানা চত্বরে থাকতেন। কারখানার বাকি অংশে নাকি কোনো সমস্যা নেই। সবকিছু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চলছে। এমনকি অতজন নিরাপত্তারক্ষী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সংস্থা কী কাজ শুরু করার জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বা তাদের সংষ্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের চিকিৎসা বা পরীক্ষার কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

এর আগে প্রথম যখন শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে, তখন কারখানা কর্তৃপক্ষ গোটা দোষটাই শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেয়। বলা হয়, শ্রমিকদের আবাসন থেকেই করোনা ছড়িয়েছে। অথচ শ্রমিকরা বলছেন, করোনা ছড়িয়েছে কারখানা থেকেই। উৎপাদন চলাকালীন যখন প্রথম এক শ্রমিকের মধ্যে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পায়, তখন তাকে সরিয়ে কোনোমতে কারখানার কিছু অংশ স্যানিটাইজ করে আবার উৎপাদন শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই মারুতি কর্তৃপক্ষের। সরকারও এ বিষয়ে সবকিছু জেনেও না জানার ভান করে রয়েছে।  

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *