পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: অতিমারির মধ্যে এত বড়ো মিছিল হয়নি ইজরায়েলে। শুরুতে পুলিশ অনুমতি দেতে চায়নি। পরে সংগঠকরা নিশ্চয়তা দেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে এবং মিছিলে যোগদানকারী সকলে মুখোশ পরবেন। তারপর অনুমতি মেলে।
২০০০-এর বেশি মানুষকে মিছিলে হাঁটার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০০০।
বামপন্থী মেরেতজ পার্টি, মেজরিটি আরব জয়েন্ট লিস্টের কমিউনিস্ট হাদাশ গোষ্ঠী ও কয়েকটি বামপন্থী অধিকার সংগঠন এই মিছিলের আয়োজন করেছিল তেল আভিভে।
নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইজরায়েল রাষ্ট্র তাদের দখলে থাকা ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের একাংশকে স্থায়ী বাবে আত্মসাৎ করতে চায়। ১ জুলাই সে দেশের সংসদে এই সংক্রান্ত আইন পাস হবে। কিছুদিন আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন দ্বন্দ্ব মেটাতে এই ফর্মুলার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন সামরিক ক্ষমতাহীন প্যালেস্তাইনের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। সেই মতোই কাজ এগোতে চায় ইজরায়েল। যদি প্যালেস্তাইনের তরফে ওই প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়নি।
শনিবার বিকেলের ওই মিছিলে নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধাপরাধের’ তকমা দেওয়া হয়েছে। শ্লোগান উঠেছে ‘আত্মসাৎ নয়, শান্তি চাই’। প্যালেস্তাইনের দাবি মতো এলাকা নিয়ে পৃথক রাষ্ট্রের অধিকারকে মেনে নেওয়া হয়েছে ওই মিছিলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রাট রাজনীতিবিদ বার্নি স্যান্ডার্সের বক্তব্য এদিনের মিছিলে প্রদর্শিত হয়।