শ্রম আইন সংশোধন, বেসরকারিকরণ, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা- যৌথ প্রতিবাদ আসানসোলে
পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: স্পঞ্জ আয়রন কারখানার কর্মীদের লকডাউনে অর্ধেক মজুরি দেওয়া হয়েছে, অনেককেই মজুরি দেওয়া হয়নি। মিনিবাস শ্রমিকদের ২ মাস মজুরি দেওয়া হয়নি। আসানসোল-দুর্গাপুরের প্রায় সব কারখানাই লকডাউনে বন্ধ। কোনো শ্রমিকই মজুরি পাননি। শিল্পাঞ্চলে জেলাশাসকের নির্দেশ সত্ত্বেও বহু কারখানা বা ইটভাঁটার মালিকরা শ্রমিকদের খাবার দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও শ্রমিকরা বাড়ির পথে হাঁটছেন। কিছু কিছু কাজ চালু হলেও বাস না চলায় অনেকেই কাজে যাতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে আসানসোলের হটন মোড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল কয়েকটি সংগঠন।
আসানসোল সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশন, ইসিএল ঠিকা শ্রমিক অধিকার ইউনিয়ন, গণ অধিকার মঞ্চ-দুর্গাপুর, অধিকার, অল ওয়েস্টবেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়ন, পিপলস ফোরাম-আসানসোলের তরফ থেকে এদিন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক ও রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে একটি দাবি সনদ পেশ করা হয়।
সংগঠনগুলির মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে- যাদের রেশন কার্ড নেই, তাদের ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী রেশন কার্ড দিতে হবে ভেরিফিকেশন ছাড়াই। ডিসেম্বর পর্যন্ত রেশনে বিনামূল্যে ডাল, আলু, তেল, সোয়াবিন, ছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।যেসব শ্রমিক প্রচেষ্টা প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি, তাদের অফলাইনে ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গৃহ পরিচারিকা, গৃহ শিক্ষক, সাংবাদিকদের প্রচেষ্টা প্রকল্পের আওতায় যুক্ত করতে হবে। সব কারখানার শ্রমিকদের মার্চ ও এপ্রিলের বেতন দিতে হবে। কাউকে ছাঁটাই করা চলবে না। যেসব শ্রমিক বাড়ি ফিরতে চান, তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। আটকে পড়া শ্রমিকদের খাওয়ার ব্যবস্থা যাতে মালিকরা করে, তার দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে কোনোভাবেই ৮ ঘণ্টার কাজ ১২ ঘণ্টায় করানো যাবে না। শ্রম আইন শিথিল নয়, বরং এই কঠিন সময়ে শ্রম আইন আরও কঠোর ভাবে জারি করতে হবে। ২০ জন নিয়ে বাস চালানোর জন্য বেসরকারি বাস মালিকদের ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে হবে। করোনা ছাড়া অন্য রোগের চিকিৎসায় অবহেলা করা চলবে না।