১০-১২টা দেশের করোনা-সংকটকে কেন গোটা দুনিয়ার সংকট হিসেবে দেখানো হচ্ছে?
ডব্লুএইচও-র আফ্রিকান অঞ্চলের ৪৫টি দেশে, ১১ এপ্রিল অবধি করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৯৩৪০জন ও করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪১৫ জন। একটি দেশের নয়, প্রায় পুরো আফ্রিকা মহাদেশের এই পরিসংখ্যান।সেখানে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের একটি মাত্র দেশ ইংল্যান্ডে, শুধু ১১.০৪.২০-তেই নতুন রোগীর সংখ্যা ৫১৯৫, নতুন মৃতের সংখ্যা ৯৮০! কিউমিউলেটিভ অর্থাৎ, মোট রোগীর সংখ্যায় আফ্রিকাতে প্রথম তিনটি দেশ হল দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৩, আলজিরিয়া(১৭৬১) ও ক্যামেরুন (৮০৩)। মোট মৃতের সংখ্যায় আফ্রিকাতে প্রথম তিনটি দেশ হল আইভরি কোস্ট(৯৬), আলজিরিয়া(৯৫) ও ক্যামেরুন(৭৩)। এর মধ্যে আলজিরিয়া ছাড়া বাকি দেশগুলো সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশ, যার মধ্যে আছে ৪৬টি দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে যা পৃথিবীর অন্যতম অনুন্নত অঞ্চল।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান সংকটকে সুযোগে পরিণত করাই বিপ্লবী কর্তব্য’, বলছেন কানাডার কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা
আফ্রিকা ছেড়ে আসি আমেরিকায়। কোনো অজ্ঞাত কারণে ডব্লুএইচও, উত্তর ও দক্ষিণ-সব দিক দিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা দুই আমেরিকা মহাদেশকে এক সাথে নিয়ে ‘আমেরিকাস’ অঞ্চল তৈরি করেছে, যার ফলে তাদের স্বাস্থ্য পরিসংখ্যানও এক সাথে মিশে গিয়ে বিভ্রান্তিকর স্বাস্থ্যচিত্র তৈরি করে।‘আমেরিকাস-’এ ১১ এপ্রিল অবধি নতুন রোগীর সংখ্যা ৪৩,৮৯১, মৃতের সংখ্যা একটু কম, ২২৫৬। কিন্তু আমরা যদি আলাদা ভাবে বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখবো এই ৪৩৮৯১-এর মধ্যে৮১% নতুন রোগী(৩৫৩৮৬)আর ৮৬% নতুন মৃত(১৯৩১) শুধুমাত্র ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার। মোট রোগীর সংখ্যায়(৫৩৬৬৬৪)ইউনাইটেড স্টেটসের অবদান ৪৬১২৭৫(৮৬%) ও মোট মৃতের সংখ্যায় ১৬৫৯৬(৮৬%)। [WHO Situation Report 82. 12.04.20]
আর আলাদা করে যদি দক্ষিণ আমেরিকার তথ্য নিই, তাহলে দেখবো, মোট রোগীর সংখ্যা ও মোট মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৮০৯৪ ও ১৯৫১, অর্থাৎ পুরো ‘আমেরিকাস’-এর মোটামুটি ৯% ও ১১%। হ্যাঁ, পুরো মহাদেশে।মোট রোগীর সংখ্যায় দক্ষিণ আমেরিকাতে প্রথম তিনটি দেশ হলো ব্রাজিল(২০৯৬২), ইকুয়েডর(৭২৫৭) ও চিলি(৬৯২৭)। মোট মৃতের সংখ্যায় দক্ষিণ আমেরিকাতে প্রথম তিনটি দেশ হলো ব্রাজিল(১১৪০),ইকুয়েডর(৩১৫)ও পেরু(১৮১)।
[https:// en.m.wikipedia.org/wiki/2020_coronavirus_pandemic_in_South_America]
না, সংখ্যা নিয়ে জাগলারি করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হল এটা দেখানো যে সারা পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা,এই দুই মহাদেশের ৫৯টি দেশের, যাদের মিলিত জনসংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ২১.৫%, সারা পৃথিবীর মোট করোনা রোগীর ও করোনায় মৃতের মধ্যে অবদান যথাক্রমে মাত্র ৩.৬% ও ২.৪%।
না ইলেকট্রনিক মিডিয়া, না সোশ্যাল মিডিয়া, কেউ এই খবরগুলো জানাচ্ছে না। অথচ আমরা জানি,ডব্লুএইচও-র তথ্যও বলছে, ১৫-১৬টি ছোটো ছোটো দেশ ছাড়া পৃথিবীর সবদেশই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাহলে ঘুরেফিরে ১০-১২টি দেশের কথাই, আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে এই মুহূর্তে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, চিন, ইতালি, মাঝে মাঝে স্পেন, ফ্রান্স ও ইরান এবং ভারত ছাড়া বাকি পৃথিবীর কথা আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং আমাদের দেশি মিডিয়া তুলে ধরছে না কেন? উত্তর আসবে, এর সহজ কারণ হলো এই দেশগুলোতেই করোনার আক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে।
কিন্তু সত্যিই কি ‘প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা’? যদি মহামারিবিদ্যার(Epidemiology) দিক দিয়ে দেখি, তাহলে যে সব দেশে রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে শুধু সেগুলো নয়, অতিমারির প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে হলে যেসব দেশে রোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেনি, সেই দেশগুলোকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।সঠিক বৈজ্ঞানিক অর্থে না হলেও বোঝাবার সুবিধার জন্য বলা যায়, সেই দেশগুলো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ‘কন্ট্রোল’-এর মতো কাজ করতে পারে। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ভৌগোলিক ও জিনগত কারণে অনেক সময়ে বিভিন্ন দেশে ও জনগোষ্ঠীতে একটি রোগের বিভিন্ন বৈচিত্র্য দেখা যেতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ‘ডাফি’ (Duffy) অ্যান্টিজেন-এর কথা। অধিকাংশ মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় এই ডাফি অ্যান্টিজেন থাকে, কিন্তু কিছু কিছু জনগোষ্ঠী পাওয়া যায়, যাদের রক্তে এই অ্যান্টিজেন থাকে না। এদেরকে ‘ডাফি-নেগেটিভ’ বলে। এদের মধ্যে প্রধান হলো পশ্চিম আফ্রিকার কালো মানুষেরা, যাদের ৯৫% মানুষ ‘ডাফি-নেগেটিভ’। দেখা গিয়েছে এই ডাফি-নেগেটিভদের প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া হয় না (ম্যালেরিয়ার দুটি প্রধান পরজীবী হলো প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ও প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম)। এই কারণে পশ্চিম আফ্রিকাতে, ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া প্রায় শূন্য। অন্যদিকে আফ্রিকাতে ‘সিকল সেল ডিজিজ’ (Sickle Cell Disease) নামে লোহিত রক্তকণিকার এক ধরনের জন্মগত রোগের রোগীদের মধ্যে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া খুব কম হয়।
[Pittman KJ, Glover LC, Wang L, Ko DC (2016). The Legacy of Past Pandemics: Common
Human Mutations That Protect against Infectious Disease. PLoS Pathog 12(7): e1005680. doi:10.1371/journal.ppat.1005680.]
কোভিড-১৯ সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাস। তার সম্বন্ধে এখনো বহু তথ্যই অজ্ঞাত। সুতরাং যে সব দেশে রোগ ও মৃত্যু কম হচ্ছে সেইসব দেশে এই ধরনের গবেষণা খুবই প্রয়োজন। যদিও এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়, তবুও এই পর্যন্ত ভারতে গুরুতর রোগীর সংখ্যা ইতালি, ব্রিটেন বা আমেরিকার থেকে কম পাওয়ার ফলে এর মধ্যেই বিজ্ঞানীমহলে কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া আরম্ভ হয়েছে। তার মধ্যে, আমাদের দেশে বেশি ক্লোরোকুইন খাওয়ার থেকে রক্তাল্পতার রোগীদের সংখ্যাধিক্য, যেগুলো ভাইরাস আক্রমণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে, এইরকম নানা বিষয় রয়েছে। প্রমাণিত নয় বলে এই নিয়ে বেশি লেখা অর্থহীন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথাটা হলো, রোগের ধরন ও তার সামাজিক নির্ণায়কগুলোর ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ইউরোপ-আমেরিকা, এমনকি বর্তমান চিন-জাপানের থেকেও আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা, এমনকি এশিয়ার ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশের সঙ্গে অনেক বেশি মিল। কর্কটক্রান্তীয় দেশগুলোর সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিল হলো জলবায়ুগত। কর্কটক্রান্তীয় জলবায়ুতে করোনাভাইরাস বেশি থাবা বসাতে পারবে না, এটা কিছু জীবানুবিদ্যা-বিশেষজ্ঞের পুরোনো মত। এই বিষয়ে গবেষণা চালাতে হলেও আমাদের তাকাতে হবে কর্কটক্রান্তীয় দেশগুলোর দিকেই।
এখানে একটা প্রশ্ন উঠতে পারে, এইসব দেশে কি সত্যিই রোগী ও মৃতের সংখ্যা কম, নাকি এইসব দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও তথ্য সংরক্ষণ ও সম্প্রচার ব্যবস্থা দুর্বল বলে এই সংখ্যা কম দেখাচ্ছে? এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চেপে দেওয়ার অভিযোগও উঠতে পারে। উত্তরে বলা যায়, আসলের থেকে কম রিপোর্ট হওয়া, বা ‘আন্ডার রিপোর্টিং’ মহামারিবিদ্যার একটা সমস্যা। কিন্তু লেখার প্রথমেই ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে এইসব দেশের যা আসমান-জমিন ফারাক দেখানো হয়েছে, তা ‘আন্ডার রিপোর্টিং’ দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। তাছাড়া, ২০১৩-১৬-তে পশ্চিম আফ্রিকার ‘ইবোলা’ মহামারির এবং ২০১৫-১৬-তে দক্ষিণ আমেরিকার ‘জিকা’ ভাইরাস মহামারির সময় ‘আন্ডার রিপোর্টিং’-এর জন্য সারা বিশ্বে খবর ছড়িয়ে পড়তে কোনো অসুবিধা হয়নি। আর সরকারের ইচ্ছাকৃত ‘আন্ডার রিপোর্টিং’ নিয়ে বলতে গেলে জানাতে হয়, এই অভিযোগ তথাকথিত ‘উন্নত’ দেশগুলোর বিরুদ্ধেও কম নেই। করোনা নিয়ে এই তিন মাসেই চিন, আমেরিকা, ব্রিটেনের বিরুদ্ধে বারবার এই অভিযোগ উঠছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নামক ফ্যাসিস্টটির দৈনন্দিন মিথ্যাচারে আমেরিকার সাধারণ জনগণই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
সুতরাং পশ্চিমি মিডিয়ার ও তার পোঁ ধরা ‘গোদী মিডিয়া’র এই ‘আন্ডার রিপোর্টিং’-এর কারণ ‘করোনা’ নয়, এ হলো ‘কোরো না’। অর্থাৎ এর পিছনে রয়েছে গত পাঁচশো বছর ধরে প্রাচ্যের, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের মনে সযত্নে নির্মিত ও লালিত পশ্চিমী সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বর মিথ। এই মিথ শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিকই নয়, এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের বিরাট সাংস্কৃতিক নির্মাণ। এই প্রসঙ্গে ওরিয়েন্টালিজম, উত্তর-আধুনিকতা, ‘অপর’-এর ধারণা, ‘নিম্নবর্গের’ ধারণা এইসব বিষয়ও চলে আসতে পারে, তবে এই লেখায় এইসব নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। মোদ্দা কথা হলো, এই আগেকার কলোনিগুলোতে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল করে দেওয়া হয়েছে যে, সারা পৃথিবীর সুখ-দুঃখ পশ্চিমী দুনিয়ার সাথেই আবর্তিত হয়, অতএব কেবলমাত্র তারা যখন বিপদে পড়বে, তখনই সেটা সারা দুনিয়ার বিপদ। অতএব সেটিই একমাত্র খবর হওয়ার যোগ্য। বাকি দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বিপর্যয়কে পশ্চিমী দুনিয়া তাদের রাজনৈতিক সুবিধাবাদ অনুযায়ী কীরকম দৃষ্টিতে দেখে তার একটা পোস্টার দেখে নিন।
হাতের কাছেই উদাহরণ আছে। অন্য দুনিয়ার একমাত্র যে দেশটির নাম সাম্প্রতিককালে পশ্চিমী মিডিয়ায় উঠে এলো, সেটি হলো কমিউনিস্ট পার্টির শাসনাধীন কিউবা, তাদের দুই চক্ষের বিষ। কিন্তু কখন? যখন কিউবা ইতালিতে মেডিক্যাল টিম পাঠালো, তখন। অর্থাৎ যখন তুমি ‘উন্নত’ দেশগুলোর কিছু উপকার করবে, তখন ‘পুরাতন ভৃত্য’র মতো করুণা করে তাঁরা তোমার প্রশংসা করে ধন্য করবেন। একই কিউবা যে দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের আরও ১৩টি দেশে টিম পাঠিয়েছে, সেটা উহ্য রইলো। শুধু তাই নয়, কিউবার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে বিশ্বে অন্যতম শ্রেষ্ঠ, তা সারা পৃথিবী, এমনকি ষাট বছর ধরে তাদের উপর কুৎসিত এমবার্গো চালিয়ে রাখা আমেরিকা অবধি স্বীকার করে। সেই কিউবা কীভাবে করোনার মোকাবিলা করছে, এই নিয়ে পশ্চিমী ও গোদী মিডিয়া, যারা কারণে-অকারণে কমিউনিস্টদের নিন্দা করার কোনো সুযোগ ছাড়ে না, যে কোনো রকম প্রতিবাদে ‘বামপন্থী’ লেবেল লাগিয়ে দিতে যারা সিদ্ধহস্ত, তারা প্রায় চুপ! অথচ মোদির ‘তালি বাজানো’ প্রোজেক্ট(যা বাস্তবে কাঁসর-ঘণ্টা বাজানো করোনা পূজার মাস গ্যাদারিং-এ পরিণত হলো!) আমদানি হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতির ইতালি ও স্পেন থেকে। ‘আরোগ্য সেতু’ আ্যাপ, যার সন্দেহজনক প্রকৃতি নিয়ে কথা উঠছে, তার উৎস দক্ষিণ কোরিয়া। এমনকি যে লকডাউনে সারা দেশ স্তব্ধ; আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এমনকি এশিয়ারও অন্য দেশগুলোতে তা ইউরোপ-আমেরিকার মতো করেই পালন করা হচ্ছে কিনা, না হলে কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে কি না, এইসব জরুরি প্রশ্নে মিডিয়া নিশ্চূপ।
আসলে পশ্চিমের শ্রেষ্ঠত্বের এই নির্মাণ তো এশিয়া, অফ্রিকা আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর উপর পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদের নামিয়ে আনা অবর্ণনীয় শোষণ-উৎপীড়ন-অত্যাচারের রক্তাক্ত ইতিহাসকে সেই দেশগুলোর মানুষদেরই-এদুয়ার্দো গ্যালিয়ানো কথিত যাদের ‘উন্মুক্ত শিরার’ রক্ত শতাব্দী পর শতাব্দী ধরে স্ফীত করে তুলেছে এবং এখনো স্ফীত করে তুলছে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির ভাঁড়ারঘর-মন থেকে মুছে দেওয়ার প্র্রধান কৌশল। তাই যতোদিন এই শোষণ অব্যাহত থাকবে, ততোদিন চলবে এই একমুখীন মিডিয়া সম্প্রচার।
আশার কথা একটাই, যতো শক্তিশালীই হোক, কোনো চক্রান্তই কোনোদিন প্রতিবাদীদের কণ্ঠ সম্পূর্ণ রোধ করতে পারে না। তাই ‘আগুনে পুড়ে যাওয়া মহাকাশ’গুলোর সংবাদ এখনও আমরা মাঝে মাঝে পেয়ে যাই।