Home রাজনীতি সিএএ ২০০৩ বাতিল না হলে এনআরসি রোখা যাবে না, রাস্তার লড়াই ছাড়া উপায় নেই

সিএএ ২০০৩ বাতিল না হলে এনআরসি রোখা যাবে না, রাস্তার লড়াই ছাড়া উপায় নেই

সিএএ ২০০৩ বাতিল না হলে এনআরসি রোখা যাবে না, রাস্তার লড়াই ছাড়া উপায় নেই
0

সৌম্য মন্ডল

NRC বিরোধী আন্দোলনের কিছু নেতা প্রচার করছেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নাকি NRC/ NPR বা CAA লাগু করতে দেবে না। তাই রাজ্য সরকারের উপর ভরসা রাখলেই চলবে। তারা বলেন যে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বজায় থাকার ফলে রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন হয় কেন্দ্রের। আর আমরা দেখতে পাচ্ছি  পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার  NRC বা CAA- এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছে।  আমরা যদি মাস ছয়েক আগের কথা মনে করি তাহলে দেখবো কেউ কেউ বলছিলেন যে বাংলায় NRC করতে গেলে নাকি  বিধানসভায় বিল পাস করাতে হবে।  

আদৌ কি ব্যাপারটা এরকম? দেখা যাক সংবিধান কি বলছে- সংবিধানের সপ্তম তফসিলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৩ টি তালিকা আছে। কেন্দ্র তালিকা, রাজ্য তালিকা, যুগ্ম তালিকা।    

ভারতে  নাগরিকত্ব কিন্তু একান্ত ভাবেই কেন্দ্র তালিকা ভুক্ত  বিষয়। নাগরিকত্ব বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার বহির্ভূত। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  ব্যাপারটা এরকম নয়। সেখানে কেন্দ্রের একটি সংবিধান আছে তার সাথে রাজ্যগুলোরও আলাদা আলাদা সংবিধান আছে। একজন শিশু যে রাজ্যে জন্মাচ্ছে, আগে সেই রাজ্যের নাগরিকত্ব পায় এবং সেই রাজ্যের সংবিধানের অধীন হয়। এর সাথে সাথে সে কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব পায় এবং কেন্দ্রীয় সংবিধানের অধীন হয়।   

আরও পড়ুন: নয়া ঔপনিবেশিক ভারতে নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব- শ্রেণি যুদ্ধ ও বর্ণ ব্যবস্থার অবসান প্রসঙ্গে   

ভারতে  কিন্তু রাজ্যের কোনো আলাদা সংবিধান নেই, রাজ্য সরকার কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারেনা, কাড়তেও পারেনা। সুতরাং বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসে সেই ৩১,৩১৩ জন অমুসলমান, যারা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছিলেন যে তারা ধর্মীয় নিপীড়নের ফলে ভারতে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে যদি কোনো পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা থেকেও থাকেন অথবা পশ্চিমবঙ্গের কোনো বাসিন্দা যদি তার বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ, তার হিন্দুত্বের প্রমাণ, ধর্মীয় নিপীড়নের ফলে দেশ ছাড়ার প্রমাণ জোগাড় করে CAA 2019- এর আওতায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানায়, তবে তার নাগরিকত্ব পাওয়া রাজ্য সরকার কী ভাবে আটকাবে, তা বোধগম্য নয়। কেউ রাজ্য সরকারের কাছে CAA 2019- এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করবেও না। ফলে রাজ্য সরকারের CAA 2019 মানা বা না মানাটা অবান্তর কথা।   

 রাজ্য সরকার কি বিধানসভায় কোনো প্রস্তাব বা বিল পাস করিয়ে কেন্দ্রীয় আইনের কর্মসূচি ঠেকাতে পারে?

 এটা ঠিক যে CAA 2003 এর 14A ধারার জোরে NRIC লাগু করতে গেলে NPR করতে হবে। শুধু এই রাজ্যে  NPR করতে গেলে ২.৫ লক্ষ মতন কর্মী প্রয়োজন। এত কর্মী কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করতে হবে। রাজ্য এ ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করতে পারে।    

কিন্ত ভারতের সংবিধানের ২৫৬ ধারা  এবং ২৫৭(১) ধারা অনুযায়ী   কেন্দ্রের কোনো আইন বা কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যহীন কোনো আইন পাস বা কার্যকলাপ রাজ্য সরকার  করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র তার প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে রাজ্য সরকারকে বা সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রের কর্মসূচি রূপায়ণে হুকুম দিতে পারে। 

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে রাজ্য সরকার বা সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রের হুকুম মানতে সাংবিধানিক ভাবে বাধ্য।  কিন্তু এরকম যদি হয় রাজ্য সরকার অবাধ্য হলো, সে তার সীমিত ক্ষমতা বলে কোনো পদ্ধতি আবিষ্কার করে কেন্দ্রের কর্মসূচি রূপায়ণে বাধা দিলো,,, তখন কী হবে? দেখা যাক সংবিধান কি বলছে?  সংবিধানের ৩৫৬ ধারা এবং ৩৬৫ ধারা বলছে যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতে বা অন্য কোনো কারণে যদি মনে করে যে রাজ্য সরকার  সংবিধান অনুযায়ী চলছে না, কেন্দ্রকে বাধা দিচ্ছে বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসূচি রাজ্য পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে  তবে রাজ্য সরকারকে ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে। রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে এত ক্ষমতা সম্ভবত দুনিয়ার কোনো দেশের সংবিধানেই নেই।     

   

সুতরাং নাগরিকত্ব আইন তো বটেই, যে কোনো কেন্দ্রীয় আইন রাজ্য সরকার মানতে বাধ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের সব রকম কর্মসূচিও রূপায়ণ করতে রাজ্য বাধ্য। ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র বলা একটি বাতুলতা মাত্র। সংবিধানের  ১ নং ধারায় ভারতকে রাজ্যগুলোর ইউনিয়ন বলা হয়েছে, সংবিধানে কোথাও যুক্তরাষ্ট্র বা ফেডারেশন শব্দটা নেই। আমেরিকা বা রাশিয়ায় রাজ্য সরকার যে স্বাধীনতা পায়, তা যদি ভারতে কোনো রাজ্যের মানুষ দাবি করে তখন তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী, দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হয়। বলা হয় রাজ্য শক্তিশালী হলে কেন্দ্র দুর্বল হবে। আর কেন্দ্র দুর্বল হলে দেশ দুর্বল হবে। এই বক্তব্য যারা বলেন তারা কি কেউ আমেরিকা বা রাশিয়াকে দুর্বল দেশ মনে করে?   

সুতরাং যারা জেনে বুঝে সাংবিধানিক ভাবে বা ‘যুক্তরাষ্ট্রীয়’ কাঠামো দিয়ে NRC ঠেকানো হবে বলছেন তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন। আর যারা না বুঝে বলছেন তারা নিজের সাথে প্রতারণা করছেন। আইনি ভাবে বা সাংবিধানিক ভাবে NRC বা NPR রোখা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতি হতে পারে যে দেশের অনেক কটা রাজ্য সরকার দুঃসাহসী হয়ে উঠলো। তারা এক সাথে কেন্দ্রের কর্মসূচি মানতে অস্বীকার করলো।  এ ক্ষেত্রে এতগুলো রাজ্যে সরকার ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে বড় ধরনের গণবিদ্রোহ ডেকে আনতে কেন্দ্র নাও চাইতে পারে।  কেন্দ্র সরকার ভয় পেয়ে পিছিয়েও আসতে পারে। তবে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করা দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত রাজনৈতিক দলগুলো কতটা সাহস দেখাতে পারবে, তা নিয়ে প্রবল সন্দেহ আছে। বিশেষত যখন এদের দায়বদ্ধতা জনগণের বদলে কর্পোরেট হাউসগুলোর কাছে। ২০০৩ সালে এরাই বিজেপির সাথে সর্বসম্মতিক্রমে পার্লামেন্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে দেশের কোটি কোটি মানুষকে ‘অবৈধ অভিবাসী’র তকমা দিয়ে বেনাগরিক করে দিয়েছে এবং এই অবৈধ অভিবাসীদের কাছ থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং 14A ধারার জন্ম দিয়ে NRC  করে এই অবৈধ অভিবাসীদের ধরার বন্দোবস্ত করেছে। এরা কিন্তু কেউ সমস্যার মূল উৎস CAA 2003 বাতিলের দাবি করছে না। বরঞ্চ CAA 2019 নিয়ে লাফালাফি করে CAA 2003 কে আড়াল করছে। অথচ CAA 2003 বাতিল হলে NRC/NPR এবং CAA2019 সব কিছুই বাতিল হয়ে যায়। 

কেরলে কী ঘটছে আমরা জানিনা। তবে পশ্চিম বঙ্গের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে গত ১৬ ডিসেম্বর আন্দোলনের চাপে পড়ে NPR-এর কাজ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যত সাময়িক ভাবে স্থগিত করে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে গণ অশান্তির ফলে সাময়িক ভাবে NPR স্থগিতের কথা লেখা ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে কিছু NRC বিরোধী আন্দোলনের নেতা মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করার আবদার জুড়ছিলেন। কিন্তু কেউ প্রশ্ন তুল্লেন না যে NRC  বিরোধী মমতা সরকার কেনই বা এতদিন NPR এর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন? কেন পুরোপুরি NPR-এর কর্মসূচি ত্যাগ না করে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত NPR কর্মসূচি স্থগিত করলেন? 

পরবর্তী  নির্দেশিকা কি জাড়ি হয়ে গেছে? এই বিষয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কোনো নোটিশ আমাদের কাছে না থাকলেও ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে কামারহাটি পৌরসভা সহ একাধিক ক্ষেত্রে NPR-এর প্রক্রিয়া শুরুর নথিপত্র ফাঁস হয়েছে। বিব্রত রাজ্য সরকার কামারহাটি পৌরসভার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানায়। যদিও কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা বর্তমান লেখক জানতে পারেনি। তা ছাড়া পৌরসভার কাছে NPR চালু করার নির্দেশ এসেছিলো জেলাশাসকের কাছ থেকে। জেলাশাসক নিশ্চয় পৌরসভাকে ব্যক্তিগত চিঠি লেখেননি। জেলাশাসকের চিঠিটি ছিলো প্রশাসনিক চিঠি। জেলাশাসক কার নির্দেশে পৌরসভাকে চিঠি পাঠিয়েছেন বা জেলাশাসক-এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা কোনো কিছুই জানা যায়নি।    

সাংবিধানিক ভাবে রাজ্য সরকার NPR করতে বাধ্য।  অন্যদিকে জনগণের চাপে NPR এর জন্য রাজ্য সরকার কর্মী দিতে পারছে না। এই উভয় সংকট থেকে বিরোধীদের বেরিয়ে আসার পথ করে দিয়েছে মোদি সরকার।  কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন যে খরচ বাঁচাবার জন্য নাকি এবার NPR আর জনগণনা বা সেন্সাস একসাথে ২০২০ এর ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। যদিও এই নিয়ে সরকার কোনো গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছে বলে বর্তমান লেখক দেখেনি। যদিও আগের বছর ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি  NPR এবং ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে জনগণনা চালু হওয়ার দুটি আলাদা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্সাস এবং NPR একসাথে চালু হওয়ার আলাদা কোনো গেজেট নোটিফিকেশন এখনো জারি হয়নি। হবে বলেও মনে হয় না। প্রশাসন কিন্তু কারো মুখের কথায় চলেনা, লিখিত নোটিশ লাগে। জনগণনার নামে NPR করিয়ে নেওয়াই কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্য। অন্য দিকে রাজ্য সরকারে বসে থাকা বিরোধী দলগুলো  সুযোগ পেল সংকট থেকে বেরিয়ে আসার। তারা বলছে ১ এপ্রিল থেকে জনগণনা হবে। তারা মানুষকে বোঝাচ্ছে জনগণনার উত্তর দেবেন, NPR-এর উত্তর দেবেন না।  তারাও জানে যে কোনটা জনগণনার প্রশ্ন আর কোনটা NPR এর প্রশ্ন, এটা সবাইকে বোঝানো সম্ভব নয়। আধাখেচরা NPR- এর উত্তর দেওয়া মানে সন্দেহভাজন হওয়া। এই দলগুলো কেউ দাবি করছে না যে ২০২১ এ নির্ধারিত সময়ের আগে জনগণনা করা যাবেনা,  NPR-এর সাথে জনগণনাকে যুক্ত করা যাবেনা বা NRC/NPR এর উৎস CAA 2003 বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জনগণনা করতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় সেরকারের সাথে এই সমঝোতার ফলস্বরূপই কি মমতা সরকারের পুলিশ কলকাতা বইমেলায় NRC বিরোধী ছাত্র ছাত্রীদের বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে মারধর করলো, গ্রেফতার করলো? এই সমঝোতার জন্যেই কি NPR বিরোধী প্রচারে বা জনগণনা ভবন অভিযানের কর্মসূচিতে শাসল দল এবং পুলিশ এক সাথে বাধা দিলো?            

জনগণনা পিছলে বা না হলে মানুষের জীবনে কি প্রভাব পড়বে জানা নেই। কিন্তু NRC হলে যে বড়ো প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। আর বিধি অনুযায়ী NRC করতে গেলে সরকারকে দেখাতে হবে NPR হয়ে গেছে। আধাখেচরা NPR হলেও চলবে। NPR- এ যারা আধাখেচরা উত্তর দেবে তাদের ডাউটফুল মার্ক করে কাগজ দেখতে চাইবে। তখন বিরোধীরা আমরা তো এমনটা চাইনি বলে ‘বিশ্বাসঘাতক’ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল ধরনার সার্কাস শুরু করবে। কিন্তু একবার মানুষের নাগরিকত্ব চলে গেলে আর শান্তিপূর্ণ ভাবে কিছুই করার থাকবে না। 

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন যে তারা সংসদে CAA 2003- কে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে পাস করিয়ে ভুল করেছিলেন, এরকম ভুল আর করবেন না, তবে মানুষ হয়তো ক্ষমা করে দেবে। তারা যদি NRC/NPR বা CAA2019-এর ভিত্তি CAA 2003 বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নামেন তবে মানুষের ভরসা ফিরে পাবেন। আর যারা CAA 2003 পাস করানোর সাথে কোনো ভাবে যুক্ত নন তারাই বা কেন সমস্যার মূল উৎস CAA 2003 বাতিলের দাবিতে মানুষকে সংগঠিত করছেন না তার উত্তরও দিতে হবে। কেন তারা সব জেনে বুঝে রাজ্য সরকার নিয়ে মোহ তৈরি করছেন, তার জবাব দিতে হবে। কারণ ভুল কখনো কখনো অপরাধ হয়ে যায়। বিশেষত যখন মানুষের জীবনমরন সমস্যা এর সাথে জড়িয়ে থাকে। এখনো সময় আছে ভুল শোধরাবার। সংবিধান বা  নেতা মন্ত্রীরা নয় মানুষের রাস্তার লড়াই একমাত্র পারে NRC/NPR রুখতে।           

Share Now:
tags:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *