পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ভিরাসম (রেভল্যুশনারি রাইটার্স এসোসিয়েশন)-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অধ্যাপক সি.কাশিম। গত পরশু তাঁকে হায়দরাবাদ কোর্টে হাজির করা হলে আদালতের সামনে তাঁর বিবৃতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অধ্যাপক কাশিম বলেন পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তেলেঙ্গনা পুলিশ তাঁকে জোর করে একটি ‘স্বীকারোক্তি’তে সই করিয়েছে। পুলিশের তৈরি সেই বিবৃতিতে রয়েছে ভিরাসম-এর বেশ কয়েকজন সংগঠকের নাম, বলা হয়েছে এঁদের সকলের মাওবাদী যোগ রয়েছে! নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কাশিমের নামে লেখা এই বয়ানের ভিত্তিতে তেলেঙ্গনা পুলিশ এইবার ভিরাসম-এর অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতার শুরু করবে।
ফাসিস্ত কায়দায় যে কোনও গণতান্ত্রিক স্বরকে রুদ্ধ করার ব্যাপারে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার খোদ মোদিকেও টক্কর দিচ্ছে! ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তেলুগু সাহিত্যের অধ্যাপক ও লেখক কাশিমকে গত ১৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করে ২০১৬ সালে নথিভূক্ত একটি মামলার ভিত্তিতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল অত্যন্ত হাস্যকর। ২০১৬-তে ট্রেনে হায়দ্রাবাদ থেকে আদিলাবাদ সফররত শ্যাম সুন্দর নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, যার কাছে পাওয়া গিয়েছিল অধ্যাপক কাশিমের লেখা দু’টি বই। বইদু’টি কী কী? ‘I am Telanganite’ এবং ‘On Classification of SC Reservations’! বাসি এই অভিযোগকে খুঁচিয়ে তুলে কাশিমকে গ্রেফতার করার কারণ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট ছিল। মাত্র ক’দিন আগে তিনি ভিরাসম-এর সম্পাদক নির্বাচিত হন, যে সংগঠনে এক সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন চেরবনডারাজু , কে ভি রামান্না রেড্ডি, ওয়ারওয়ারা রাও-এর মতো বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। ওয়ারওয়ারা রাও ৮০ বছর বয়সেও জেলবন্দি রয়েছেন। অন্ধ্র ও তেলঙ্গানা সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী ভিরাসম হার্ডকোর মাওবাদী বুদ্ধিজীবীদের মঞ্চ।