পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: বুধবার রাতে বিশ্বভারতীতে হামলার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আটক করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: গুজরাটের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কি ভারতীয়? জমেছে বিতর্ক
সংসদে সিএএ পাস হওয়ার পর থেকেই সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরগরম বিশ্বভারতী। তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় গত ৮ জানুয়ারি। সেদিন সিএএ নিয়ে এক আলোচনা সভায় বিশ্বভারতীতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। আলোচনা শেষ হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা স্বপনবাবু ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আটকে রাখেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
তারপর থেকে বিশ্বভারতীর কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র উপাচার্যর সঙ্গে বাড়তি সময় কাটাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ তারা আগে সতৃণমূল ছাত্র পরিষদ করলেও বর্তমানে এবিভিপির সঙ্গে যুক্ত। আবার কারও কারও দাবি, উপাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই তাদের মূল পরিচয়।
বুধাবার উপাচার্যের গাড়ির সঙ্গেই বাইকে ক্যাম্পাসে ঢোকেন অভিযুক্তরা। বিদ্যাভবনে সিনিয়র বয়েজ হস্টেলে গিয়ে আট তারিখে আন্দোলন করা ছাত্রদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও বচসাও করেন।
পরে সেই সব ছাত্রদের রাস্তায় পেয়ে তক্তা, রড, উইকেট দিয়ে মারধর করেন। আহত ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায়, ফাল্গুনি পান, শুভ নাথ প্রমুখ। আহতরা বিশ্বাভারতীর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানেও দুষ্কৃতীরা মারতে যান। কিন্তু সেখানে থাকা অধ্যাপকরা তা হতে দেননি। তখন অভিযুক্তরা দীর্ঘক্ষণ হাসপাতাল ঘেরাও করে অধ্যাপকদের গালাগালি করতে থাকেন। রাতের ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ চলছে বিশ্বভারতীতে। সমালোচনার চাপে অচিন্ত্য বাগদি ও সাবির আলি নামে দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার নিন্দা করেছে এসএফআই। নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।