নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবু সিংহ রায় মাস দুয়েক আগে কোঅর্ডিনেশন অব ডেমোক্রেটিক অর্গানাইজেশন এর তথ্যানুসন্ধানী দলের হয়ে বস্তারে যান। ছত্তীসগঢ়-তেলেঙ্গনা সীমান্তে ভারত রাষ্ট্রের বোমাবর্ষণের বিষয়ে তথ্য-তলাশ করতে গিয়েছিল দলটি। তিনি বলছিলেন, সরকার অধিকার আন্দোলনের কর্মীদের এলাকায় যেতে দিচ্ছে না যাতে আদিবাসীদের উপর আধা সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের খবর বাইরে না যায়। ছত্তীসগঢ়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক কমল শুক্লা বলেন, সব রঙের সরকার আজ কর্পোরেটদের পক্ষ নিয়েছে।পূর্ববর্তী বিজেপি সরকার ও আজকের ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের মধ্যে মূলগত কোন পার্থক্য নেই। তবে আগের সালওয়া জুড়ুম,গ্রিনহান্ট হোক বা আজকের অপারেশন সমাধান-আদিবাসী মানুষের লড়াইকে থামানো যাবে না। আসানসোলের বার অ্যাসোসিয়েশনে রবিবারের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিস্থাপন বিরোধী আন্দোলনের কর্মী দামোদর তুড়িও।
নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে আসানসোল-দুর্গাপুর অঞ্চলের কয়েকটি গণসংগঠন যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল এদিনের প্রতিবাদসভা। আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার পাশাপাশি, সভার বক্তব্য ছিল, দেশের খনিজ সম্পদ দেশি-বিদেশি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না এবং কোনো প্রকল্পের জন্যই আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা চলবে না।
পূর্ব ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় আদিবাসী মানুষেরা কর্পোরেট আগ্রাসনের হাত থেকে তাদের জল,জমিন ও জঙ্গল রক্ষার লড়াই লড়ছেন। তাদের লড়াইয়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ এর প্রদীপ ব্যানার্জি,ইফটুর কির্তন কোটাল,গণ অধিকার মঞ্চের ডাঃ সুরেশ বাইন,অধিকার ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের দুগাই মুর্মু,ইসিএল কোলিয়ারি শ্রমিক ইউনিয়নের স্বপন দাস এবং সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ ইউনিয়নের গৌতম মন্ডল। সংগীত পরিবেশন করেন সরোজ দাস ও শান্তনু ব্রহ্মচারী। সভা সঞ্চালনা করেন আসানসোল সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সুমনকল্যাণ মৌলিক।