Home রাজনীতি ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের পর গ্রিস; শ্রমিক ধর্মঘটে বারবার থমকে যাচ্ছে ইউরোপ

ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের পর গ্রিস; শ্রমিক ধর্মঘটে বারবার থমকে যাচ্ছে ইউরোপ

ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের পর গ্রিস; শ্রমিক ধর্মঘটে বারবার থমকে যাচ্ছে ইউরোপ
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি, ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা, বেতন বাড়ানোর দাবিতে ইউরোপের একের পর এক দেশে পথে নেমে পড়ছেন শ্রমিকরা। করছেন ধর্মঘট। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন এমনকি ইউরোপের সবচেয়ে বড়ো অর্থনীতি জার্মানিও ছাড়া পায়নি। শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন পরপর ধর্মঘট করেছেন চলতি মাসে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন গ্রিসের শ্রমিকরাও।

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটে থমকে গেল গোটা গ্রিস। অভাবনীয় মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে বেতন বাড়ানোর দাবিতে পথে নামলেন অসংখ্যা মানুষ।

সে দেশে চলতি বছরে এটা দ্বিতীয় সাধারণ ধর্মঘট। বিশাল মিছিল এথেন্সের সংসদ ভবনের সামনে পৌঁছে ছাঁটাই ও বেতন হ্রাসের বিরোধিতা করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনগণ।

এক শ্রমিকের বক্তব্য, তেল-গ্যাস এবং জীবন যাপনের খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে যিনি ৮০০ ইউরো বেতন পান, তার মান কার্যত কমে ৫০০ ইউরো হয়ে গেছে। সরকার ভরতুকি দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে সেগুলো বিভিন্ন সংস্থার কাজে লাগছে।
মনে করা হচ্ছে, ইউরোপ জুড়ে এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। গ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলির মতে মূল্যবৃদ্ধির চাপে গ্রিসের পরিবারগুলির প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে গেছে। শ্রমের বাজারে জঙ্গলের আইন চলছে।

মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন নির্মাণ কর্মী, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, ট্যাক্সি ড্রাইভাররাও। সকলের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মাসে ৫০০ ইউরোয় কেউ বাঁচে না’। ২০১৫-র পর এত বড়ো মিছিল গ্রিসে হয়নি।

শ্রমিকদের বক্তব্য, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় গ্রিসে গড় বেতন কম। ফলে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ অনেক বেশি পোয়াতে হচ্ছে গ্রিকদের। সুপার মার্কেটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে হাত ছোঁয়ানো যআচ্ছে না।

পরিস্থিতির চাপে শক্তি ক্ষেত্রে বিপুল ভরতুকি দিয়েছে সে দেশের মধ্য-দক্ষিণপন্থী সরকার। তারা আগামী বছর পেনশন ও ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গ্রিসে বর্তমানে ন্যূনতম বেতন মাসে ৭১৩ ইউরো, যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে নীচের দিকের দেশগুলির মধ্যে পড়ে।

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *