হঠাৎ পাটশিল্প নিয়ে অর্জুন সিং-দের দরদ উথলে উঠছে কেন?
বিদেশ ভট্টাচার্য
যারা আজীবন নিজেদের পকেট ভরানোর রাজনীতি করে এলো তারা আজ কৃষক-শ্রমিকের কথা বলছে, এটা যেমন ভীষণ ভয়ঙ্কর আবার ভীষণ হাস্যকরও বটে! কাঁচামালের অভাবে বহু জুটমিলই বন্ধ হচ্ছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। জুটমিল প্রসঙ্গে পূর্বের শাসক যে পন্থা অবলম্বন করেছিল তা এই সরকারও দ্রুত গতিতে এগি্য়ে নিয়ে চলেছে রাজ্য জুড়ে। এর কারণ শুধুমাত্রই মালিকশ্রেণির দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, লোভ ও তার পেটোয়াদের গুন্ডাগিরি এবং সাম্রাজ্যবাদের ধারণপোষণে চলা প্রতিটি সরকারের নির্ভেজাল কর্পোরেট-প্রেম।
ব্রিটিশ আমলে গড়ে উঠা ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের পাটশিল্প ১৯৪৭-এর পর থেকেই প্রায় ধুঁকতে বসেছিল। সারা ভারতের মধ্যে আজকের পশ্চিমবঙ্গে পাটশিল্পের ৭৯% গড়ে ওঠার কারণেই কলকাতা ছিল ব্রিটিশ আমলে শিল্পের প্রাণকেন্দ্র ও রাজধানীও বটে।
পাটশিল্পের সাথে দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত থাকার কারণে ও অসংখ্য শ্রমিক আন্দোলনের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ১৯৮৭ সালে ‘জুট প্যাকেজিং মেটিরিয়াল অ্যাক্ট’ তৈরি করে। পাটকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করে পাটের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য কীভাবে কী ব্যবহার হবে ঠিক করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার Steering Committee for Growth and Development গঠন করে। এই কমিটি পাট থেকে তৈরি সাত রকমের কাপড় উৎপাদনের উপর জোর দেয়। এরপর ২০০৫ সালে ‘জাতীয় পাট নীতি’ ঘোষিত হয় যাতে ভারতীয় অর্থনীতিতে পাটের গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়। আরও বলা হয় যে, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের আঞ্চলিক অর্থনীতি, বিশেষ করে পেশাগত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, পাট চাষ ও পাট শিল্পের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পাটের তৈরি দ্রব্যের জোগান বাড়ানোর কথা বলা হয়। জোগান বাড়লে রফতানি বাড়ার কথা যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘ভারত পাটশিল্প উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করে।
আইনে Steering Committee-র সুপারিশ এবং ‘জাতীয় পাট নীতি’ থাকা সত্ত্বেও আখেরে সব কিছু খাতা কলমেই আবদ্ধ থাকে।
১৯৮৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার, চাল, গম, চিনির মত খাদ্যবস্তুর ৪০% চটের বস্তায় বিতরণ বাধ্যতামূলক করে। ২০১৩ সালে, কংগ্রেসের মনমোহন সরকার সেটিকে ২০%-এ নামিয়ে আনে। ২০২১ সালে, বিজেপি সরকার সেটিকে পুরোপুরি ভাবে তুলে দেওয়ার ফন্দিতে, রাজ্যগুলিতে ৪০% প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহারের প্রসঙ্গ তোলে এবং কুইন্টাল পিছু পাটের দাম ধার্য করে ৬,৫০০ টাকা। অতএব, চটের ব্যাগ ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হতে থাকে এবং চটের বস্তার চাহিদা কমে যায় তবে উৎপাদন কমে না যার ফলে পাটকলগুলি হয় ভুক্তভোগী।
কৃষি ক্ষেত্রে, কৃষক পাটের উপযুক্ত দাম না পেয়ে পাট চাষ প্রায় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। বন্ধ হতে থাকে বহু চটকল এবং বাড়তে থাকে শ্রমিক ছাঁটাই। সহস্র শ্রমিক কাজ হারিয়ে পরিবার সহ পথে বসে, ক্ষুধার আগুন তাদের তিল তিল করে গ্রাস করতে থাকে। অন্যদিকে কর্মরত শ্রমিকদের উপর কাজের বোঝা বাড়িয়ে তাদের শেষ রক্তবিন্দুটুকুও শুষে নিতে চায় মালিকরা। ভারত সরকারের ‘পেমেন্ট অফ গ্রাচুইটি’ আইনকে পাত্তা না দিয়ে করে, মালিকশ্রেণি শ্রমিকদের অবসরকালীন আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে অস্বীকার করে। তথ্যানুযায়ী, অবসরকালীন গ্রাচুইটি পায়নি হুগলি জেলায় এরকম প্রায় ২৫,০০০ শ্রমিক রয়েছে বর্তমানে। হুগলি নদীর দুই ধারে, সমস্ত পাটকল মিলিয়ে, অবসরকালীন পাওনা থেকে বঞ্চিত প্রায় ১ লক্ষ শ্রমিক। পাটকল মালিকদের চূড়ান্ত বেআইনি কীর্তিকলাপ ও মালিকপ্রেমী শ্রম দফতরের অতি নিরুদ্বেগ নিশ্চিন্ত মনোভাবের ফলে সহস্র পরিবার আজ চরম অনটনের স্বীকার হয়েছে, প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ পথে বসেছে। তারা এই অর্থনৈতিক টানাপড়েনের জেরে অবসাদগ্রস্ত ও ক্রমশঃ মানসিক ভাবে বিকল হয়ে পড়ছে এবং তাদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। তথ্য বলছে গত তিন বছরে প্রায় ৫০,০০০ জন এই কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। পাটকলের মালিকরা ভারত সরকারের কাছ থেকে, প্রত্যেক বছরের শুরুতে, চটের বস্তা বানাবার অনুমোদন পায় যার মধ্যে শ্রমিকের প্রাপ্য মাইনে এবং আর্থিক সুযোগ সুবিধার হিসাব ধরা থাকে।
সুতরাং মালিকের বুজরুকি এখানেই ধরা পড়ে যায়। অধিক মুনাফার লোভে মালিক ইচ্ছে মতো উৎপাদনের অজুহাত দেখিয়ে একের পর এক অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপ করে যাচ্ছে – শ্রমিকদের প্রাপ্য মাইনে না দেওয়া থেকে পাটকল বন্ধ করে রাখা এবং আস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক নিযুক্তিকরণে ফলে অত্যাধিক শ্রমিক ছাঁটাই করে মুনাফা গ্রাস করা।
রাজ্য সরকার চটের ব্যাগ ব্যবহারে জোর দেয় এবং পাটশিল্প বাঁচিয়ে রাখতে যাবতীয় সুযোগ সুবিধার কথা বলে। তবে কাজে ও কথায় দারুণ অমিল। পশ্চিমবঙ্গে, পাটশিল্পে প্রায় ২.৫ লক্ষ শ্রমিক নিযুক্ত, তাদের মধ্যে এখন কাজ হারিয়ে পথে বসেছে প্রায় ২ লক্ষ শ্রমিক, এখনও অবধি তাদের পুনর্বাসনের জন্য কোন বাক্য অবধি খরচ করেনি রাজ্য সরকার। প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার বাড়ার কারণে পঞ্জাবে, উত্তরপ্রদেশে চটের ব্যাগ পাঠানোর ব্যবসাও সংকটে। পশ্চিমবঙ্গে আজ পাট চাষ ও চটশিল্প ধুঁকতে ধুঁকতে মৃত্যুমুখে পৌঁছেছে। কাজ নেই, হাতে টাকা নেই, শ্রমিক পরিবারের ছেলে মেয়েরা শিক্ষার সব সুযোগ সুবিধে হারিয়ে সস্তার মজুরি খাটতে বাধ্য হচ্ছে অসংগঠিত ক্ষেত্রগুলিতে অথবা পরিবার সমেত দেশে(গ্রামে)ফিরে সবাই কম জমিতে খেয়ে পরে বাঁচার জন্য কৃষিকাজেই পুনরায় যোগ দিচ্ছে।
পাটশিল্পকে মৃত্যুর গহ্বরে ঠেলে দেওয়ার ফলে পরিবেশও সংকটে। প্রতি দশ মিনিটে ১ লক্ষেরও বেশি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। বৃহৎ কর্পোরেট প্রেমী সরকারের চাপে পাটের বিকল্প হিসাবে প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহার পরিবেশের কী চরম ক্ষতি করছে তা আজ বোঝা যাচ্ছে হাড়ে হাড়ে। প্লাস্টিক ব্যাগের মূল উপাদান সিন্থেটিক পলিমার, যা তৈরি হয় অপুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পেট্রোলিয়াম থেকে। বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল জোগাতে প্রতি বছর পৃথিবী জুড়ে, মোট খনিজ তেলের ৬% ব্যবহৃত হয়। প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার যত বাড়ছে, খনিজ তেলের নিষ্কাশনের পরিমাণও ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যাগ জৈববিয়োজনশীল নয়। এক টন পাট থেকে তৈরি থলি পোড়ালে বাতাসে ২ গিগা জুল তাপ এবং ১৫০ কিলোগ্রাম কার্বনডাইঅক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে, অন্যদিকে এক টন প্লাস্টিক ব্যাগ পোড়ালে বাতাসে ৬৩ গিগা জুল তাপ ও ১৩৪০ টন কার্বনডাইঅক্সাইড মিশে পরিবেশ দূষিত করে যার ফলে মানুষের বিভিন্ন জীবাণু ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হয় ও তা আজ বেড়েই চলেছে সমাজে। এইসব ক্ষতিকারক দিক বিচার করে WHO প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করে পাটের থলে, বস্তা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। তবে তা মানে কে? সরকারের নির্ভেজাল বৃহৎ কর্পোরেট প্রেমের স্বার্থে অধিক মুনাফা লোভের কাছে শ্রমিক বা এই তুচ্ছ পৃথিবীর প্রাণের কি কোন গুরুত্ব আছে? তার বদলে মালিকের অধিক মুনাফার লোভে যদি পরিবেশের ক্ষতি হয় আর পাঁচটা ভাইরাস আসে কিংবা প্রতি বছর কঠিন ঘূর্ণি ঝড় আছড়ে পড়ে গরিবের ঘর-বাড়ি ভেঙে যায় তবেই তো সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা পরিচালিত বৃহৎ পুঁজির ব্যবসার বাজার গড়ে উঠবে(নতুন রোগের নতুন ওষুধ এনে) আর বাড়বে রাজকোষে অর্থের অভাবে বেসরকারিকরণ করে সরকারের ভোট বাক্স ভরানোর ‘সামাজিক- অর্থনৈতিক স্কিম’ গুলি। এইসমস্ত কিছু না হলে কি আর ব্যক্তিস্বার্থের সমাজ ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে?
ইদানিং কালে পাটশিল্পকে গলা টিপে হত্যা করা রাজনৈতিক দলগুলি ও দল পালটিয়ে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট দলের সাংসদ বনে যাওয়া অর্জুন সিং বিশেষত পাটশিল্প নিয়ে ভাবতে বসেছে। যা নিঃসন্দেহে ভালো বিষয়। তবে মজার কথা হল রাজ্যের শিল্প তৈরির নামে দেউচা আদিবাসী কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ ও নিস্ক কারখানার পুরো জমি এবং বর্ধমান ও হুগলি জেলার বেশ কিছু জমি আদানির হাতে তুলে দেওয়ার কারণেই কৌশলগত ক্ষেত্রে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পাটশিল্পে কেন্দ্র সরকারের পাটনীতির বিরুদ্ধে মিছিল করছে, পাট চাষিদের পক্ষ নিচ্ছে(যদিও সে চাষিদের ফসলের ন্যায্য দাম আর হাতে কৃষি জমির ক্ষেত্রে টু শব্দটি করেনি, করছে না অথবা মালিকের অধিক মুনাফার স্বার্থেই শ্রমিকের দশ থেকে বারো ঘন্টার শ্রম দেওয়ার বিরুদ্ধেও কথা বলছে না), কারণ পাটের বিকল্প প্লাস্টিক লবির মূল মার্কেট বৃহৎ পুঁজির আদানি গোষ্ঠীরই আসলে। কিন্তু তবুও যত যাই বলি(যেমনটা হোক), শাসকের শ্রেণিচরিত্রের পূর্বের ইতিহাস ভুলে সোজা ভাষায় দেখলে এটা বেশ ভালো কাজ। তবে প্রশ্ন জাগছে মনে এতদিন বাদে তৃণমূল সরকারের এই সব করার কারণ কী? যখন পাটশিল্প শেষের মুখে দাঁড়িয়ে আর তাতে অন্যান্য দলগুলির মতো তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
এর কারণ দু ভাবে দেখতে হবে: (এক) রাজ্যের গরিব খেটে খাওয়া মানুষের আন্দোলনের চাপ ও তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের দুর্নীতি থেকে মানুষের মুখ ঘুরিয়ে মানুষের নজর দিল্লির দিকে ঘোরাতে(রাজ্য কেন্দ্রের উদ্বৃত্তের লড়াইয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ বাড়ছে) আর (দুই) মমতা ব্যানার্জি সরকার এখন রাজ্যে শিল্পে(উন্নয়ন) মন দিয়েছে সেটা বোঝাতে, যাতে বিভিন্ন জায়গার জমি অধিগ্রহণে রাজ্যের সংখ্যাগুরু শ্রমজীবী মানুষের সমর্থন মেলে (যেমনটা মিলেছিল গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে)।
এবার আসা যাক, ভাটপাড়ার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং প্রসঙ্গে! বস্তুত, সরকারের বৃহৎ পুঁজির প্লাস্টিক লবি বাড়ার কারণে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু জুটমিলের মালিক অর্জুন সিংয়ের জুটমিলগুলি বন্ধ হয়ে গেছে আর তার ফলে বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে তারই আনা অস্থায়ী পদে কাজ হারানো শ্রমিকেরা দেশে ফিরে যাচ্ছে। এর ফলে শুধু তার অর্থনৈতিক নয় রাজনৈতিক ভাবে আঞ্চলিক গণভিত্তির বহু ক্ষতি হয়েছে, হচ্ছে। যে কারণে তার বহু আত্মীয় এখন সরাসরি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে অনেক আগেই আর তারও শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা সমস্যার হয়ে উঠছে। কারণ তৃণমূল সরকার নিজের স্বার্থে হলেও কেন্দ্রের পাট নীতির বিরোধিতা করে জুট শ্রমিকদের গণভিত্তি নিজেদের হাতে কিছুটা হলেও টেনেছে। এ জন্যই অর্জুন সিং-ও বাধ্য হচ্ছে পাটশিল্পে শ্রমিকদের সাথে নিয়ে আন্দোলনের ‘ডায়লগ’বাজি দিতে।
আজ যদি এরা সত্যি পাট শিল্প ও শ্রমিকশ্রেণির ও পাটচাষিদের কথা ভাবতো তাহলে পাটশিল্প বাঁচানোর ও জুটমিল খোলানোর দাবিতে একজোট হলে, শ্রমিক পরিবারের রুজিরুটি ও শিক্ষা-স্বাস্থ্যের কথা তুলে ধরলে কিংবা ফসলের ন্যায্য দামের কথা বললে, মালিকের স্বার্থসিদ্ধির পক্ষে থাকা রাজনৈতিক দলগুলি এবং তার খুদে-বৃহৎ গুন্ডাবৃন্দের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিলেই সেখানে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করতো না, পেছনে লেলিয়ে দিত না পুলিশ। মিলের বহু শ্রমিক কিংবা যুব-ছাত্র বহুবার জুটমিল খোলার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে এমনই মিথ্যে কেসে হাজত বাস করেছে, করছে আর মিথ্যে কেসে কোর্টে চক্কর কাটছে। এই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং অর্জুন সিং-এর দল বিজেপি সাথে আরও নানা রঙের মালিকের স্বার্থবাহী রাজনৈতিক দলগুলি মিলিত ভাবে যা করে আসছে। যারা ভোট ও ধর্ম-জাত দিয়ে শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে, দাঙ্গা বাঁধিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। তবে এ আর কতদিন চলতে পারে?
তবে, উপরের সমস্ত তথ্য দিয়ে এ কথা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যারাই আজ পাটশিল্প নিয়ে ভুজুং-ভাজুং দিচ্ছে মিডিয়ার সামনে কিংবা জুট কর্পোরেশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তারাই হাতে ধরে শ্রমিকের পরিবারগুলিকে পথে বসিয়েছে,পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতে্র পাট শিল্পকে নষ্ট করে, একের পর এক জুটমিল বন্ধ করে শুধুমাত্র বৃহৎ দেশি-বিদেশি মুনাফাখোরদের মুনাফা বাড়িয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত আখের গুছিয়েছে গরিব খেটে-খাওয়া মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক- সামাজিক ভাবে দুর্বলতা অসহায়তার সুযোগ নিয়ে।