পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: টাটা ট্রাস্ট দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারির আগে ভারতের জেলেগুলির মধ্যে মাত্র ৬০% কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা ছিল। দেশের অর্ধেকেরও কম রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯০% কারাগারে এই সুবিধা ছিল।
বিভিন্ন দেশের মতোই, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০২০ সালের এপ্রিলে মাসে নির্দেশ দিয়েছিল যে শারীরিক উপস্থিতি হ্রাস করতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে, এহেন জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় ভারতের বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি সজ্জিত ছিল না বলেই টাটা ট্রাস্ট পরিচালিত ইন্ডিয়ান জাস্টিস রিপোর্ট ২০২০-এর তথ্য জানাচ্ছে।
এই রিপোর্ট আরও বলছে যে ৩৬টা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে মাত্র ১০টির সবকটি কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা আছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল,- শীর্ষ আদালত, উচ্চ আদালত এবং জেলা আদালতগুলিতে “ন্যায়বিচারের ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ”-এর জন্য ভিডিও কনফারেন্স-এর ব্যবস্থা করতে হবে। যে নির্দেশিকার লক্ষ্য ছিল কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ রোধ। অথচ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে শুনানি চালানোর জন্য ফৌজদারি কার্যবিধিতে সংশোধনী আনা হয়েছিল ১১ বছর আগেই। উদ্দেশ্য ছিল, সব সময় অভিযুক্ততে আদালতে হাজির করার ঝামেলা না নেওয়া।
রিপোর্ট অনুসারে, বড়ো ও মাঝারি আকারের রাজ্যগুলির মধ্যে কেবল দুটি রাজ্যের সব জেলে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সুবিধা ছিল। হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ড। তামিলনাড়ুতে এই সুযোগ ছিল মাত্র ৯% জেলে। কর্নাটকে (৩১%), পশ্চিমবঙ্গে (৩২%), রাজস্থানে (৩৮%) এবং কেরালায় (৪২%) জেলে এই সুবিধা রয়েছে।
ছোট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, আসাম, চণ্ডীগড়, দাদ্রা ও নগর হাভেলি, দিল্লি এবং পুডুচেরির সমস্ত কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা ছিল।
দমন ও দিউ, লক্ষদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমের কোনও কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা নেই।
পুলিশ, কারাগার, বিচার বিভাগ এবং আইনি সহায়তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে, সমীক্ষা অনুযায়ী শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল ও তামিলনাড়ু । সবশেষে রয়েছে উত্তর প্রদেশ।