পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসের শহরতলি অঞ্চল সিদি হাসিনে অভিযান চালিয়ে কয়েকদিন আগে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। কয়েক ঘণ্টা পরেই তার মৃত্যু হয়। এর পরেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং থানায় হামলা করতে পথে নামেন স্থানীয়রা বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে হিংসাত্মক হামলা চালায় পুলিশ। মারতে মারতে গ্রেফতার করে এক ১৫ বছরের কিশোরকে। তার জামাকাপড় খুলে দেয়। এই পুরো ঘটনাটার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
এর পর টানা তিন রাত ধরে এলাকার যুবকযুবতী ও পুলিশের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলে। পুলিশি নির্যাতন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়।
এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রকে ডেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। তারপরই কোনো মামালা ছাড়াই ওই কিশোরকে মুক্তি দেওয়া হয়। অন্যদিকে পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়। যদিও তিউনিসিয়ায় এই মুহূর্তে তীব্র রাজনৈতিক সংকট চলছে। প্রেসিডেন্ট ও সংসদ পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় জনপ্রিয় হওয়ার লক্ষ্যেই প্রেসিডেন্টের এই পদ৭এপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঘটনার পর এলাকায় একটি প্রতাবাদ মিছিলের ডাক দেয় বিপ্লবী ও অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনগুলি। কিন্তু য়ে এলাকায় মিছিলটি হচ্ছিল, সেটা পর্যটক ও স্থানীয় বুর্জোয়াদের বিনোদন স্থল। স্বাভাবিক ভাবেই মিছিল বানচাল করতে আক্রমণ নামিয়ে আনে পুলিশ। কিন্তু এবার বিষয়টা সহজ হয়নি। সকলা থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে সিদি হাসিন ও অন্যান্য শ্রমিক অঞ্চলেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ লেগেছিল।
গত জানুয়ারিতে তিউনিসিয়ায় বিপ্লবী ছাত্রযুবদের তীব্র আন্দোলনের পর থেকেই সে দেশে শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করে চলেছে বিপ্লবীরা। গত ২০১০-১১-র গণ আন্দোলনের পর থেকে তিউনিসিয়ায় ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর’-এর পর্ব চলছে বলে মনে করেন সংশোধনবাদী ও পেটি বুর্জোয়া সংগঠনগুলি। অন্যদিকে বিপ্লবীরা বলছেন, এই পুলিশি নিপীড়নের ঘটনাই প্রমাণ করছে সে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এখনও অনেক দূরের ব্যাপার।