পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: গত বছরের জুলাই থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হচ্ছিল, সে সবই হারিয়ে গেল মে মাসে পৌঁছে। অতিমারি জনিত লকডাউনের ধাক্কায় দেশ জুড়ে কাজ হারালেন ১ কোটি ৫৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
এপ্রিলে গোটা দেশে কর্মরত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৯ কোটির বেশি, মের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাঁইত্রিশ কোটিতে। এই তথ্য জানিয়েছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি(সিএমআইই)।এপ্রিল-মে দু’মাস মিলিয়ে মোট কাজ হারিয়েছেন প্রায় ২৩ কোটি মানুষ। তার মধ্যে বেতনভুক কর্মীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই আছেন মজুরি ভিত্তিক বা অন্যান্য ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ। বলাই বাহুল্য, এ সবই লকডাউনের মার।
নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে কর্মহীন ও কাজের খোঁজে থাকা মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লক্ষ থেকে বেড়ে ৫ কোটিতে পৌঁছেছে।
বেতনভুক কর্মীদের ওপর অতিমারির ধাক্কা কিছুটা কম পড়েছে, যেটুকু পড়েছে, তার বেশির ভাগটাই শহরাঞ্চলে। কিন্তু ব্যবসায়ী, ছোটো কারবারি, দিন মজুরদের জীবনজীবিকায় অতিমারি নিদারুণ ধাক্কা দিয়েছে।
এপ্রিল মাসে ছোটো ব্যবসা ও দিন মজুরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন ১২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। মে মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটিতে। মে মাসে গ্রামাঞ্চলে অন্তত ৯০ লক্ষ মানুষ কৃষি কাজে যোগ দিয়েছেন। তাতে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ। অন্যদিকে শহরে ১২ লক্ষেরও বেশি বেতনভুক কর্মচারী মে মাসে কাজ হারিয়েছেন, একই সময় গ্রামাঞ্চলে ১৪ লক্ষ মানুষ বেতনভিত্তিক কাজে যুক্ত হয়েছেন।
গ্রামীণ ভারতের কৃষি কাজ বাদে অন্যান্য কাজের সংখ্যা ব্যাপক কমে গেছে। প্রচুর শ্রমশক্তি উদ্বৃত্ত। বেশি বেশি মানুষ চাষাবাদ শুরু করছেন। এতে উৎপাদনশীলতা এবং উপার্জন দুই-ই কমছে।