পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখোমুখি কেন্দ্রীয় সরকার।তারই মধ্যে ৪০ টিরও বেশি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর চাপ বাড়িয়ে তুলল। তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে তাদের বিক্ষোভের ছয় মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে এসকেএম ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো, ২৬ মে ‘কালা দিবস’ পালন করবেন।
২০১৪ সালের ২৬ মে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার শপথ গ্রহণ করেছিলেন। গত ছয় মাসে এসকেএম তার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে, এবং দাবি করেছে যে যতদিন না কৃষি আইন বাতিল হচ্ছে আন্দোলন চলবে। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি এসকেএমের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছে এবং তারাও গত বছরের ২৬ মে সর্বভারতীয় ধর্মঘট পালন করেছিল।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় সংযুক্ত কিষান মোর্চার মুখপাত্র ও কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেয়াল তাদের সমর্থক ও দেশের মানুষদের ২৬ তারিখ বাড়িতে, দোকানে ও যানবাহনে কালো পতাকা লাগাতে আহ্বান করেন। তিনি আরো জানান যে তারা নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকাও পোড়াবেন তাদের প্রতিবাদ হিসাবে।
এসকেএমের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি একটি বিবৃতিতে বলেছে যে এই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালনের কারণ হল, বিগত ৭বছর ধরে মোদি তার লম্বা লম্বা দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ও পুরোপুরি শ্রমজীবী ও নিপীড়িত মানুষদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।
তিনি করোনা পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব নেননি। বরং রাজ্যগুলির কাঁধে দায়িত্ব ছেড়েছেন। টিকা, অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড, মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা সবই অপ্রতুল। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মোদি ১৮-৪৪ বছরের নাগরিকদেরও টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অথচ টিকার জোগান নেই। এর থেকে বোঝা যায়, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সে বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই কেন্দ্রের।
ইউনিয়নগুলি বিবৃতিতে বলেছে যে সরকার এই মহামারিটি ব্যবহার করে “কেবল কর্পোরেটদের সুবিধার্থে তৈরি করা আইনগুলি কার্যকর করে চলেছে, তা তিনটি কৃষি আইন হোক বা চারটি শ্রমবিধি হোক বা সরকারি ক্ষেত্রগুলিকে বেসরকারিকরণই হোক।”
ট্রেড ইউনিয়নগুলি তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে যে “করোনা মোকাবিলায় সরকারের কাছে তহবিল না থাকলেও সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরির জন্য তাদের কাছে কুড়ি হাজার কোটি টাকার তহবিল আছে”। পরিযায়ী শ্রমিক, কর্মহীন ও যারা এমন পেশার সঙ্গে যুক্ত যাতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি।
কৃষকদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে তাদের সদস্য-সমর্থকদেরও ২৬ মে কালা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি।