পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন ২০০ দিন পার করেছে। ইতিমধ্যে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা গোটা পঞ্জাবে সাপ্তাহিক লকডাউন আরোপের বিরুদ্ধে বিশাল সংখ্যায় একত্রিত হয়েছেন।
শত শত মানুষ লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে মিছিল করছেন ও সমস্ত দোকানদার ও বিক্রেতাদের কাছে তাদের দোকান বাজার খুলে রাখার আবেদন করছেন, যদিও অনেক বিক্রেতাই এই দাবি মানেননি।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাবে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮,৩৬৭। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় শুক্রবার কমপক্ষে ১৬৫জন করোনায় মারা গিয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত পাঞ্জাবে নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪,২৪,৬৪৭, যার মধ্যে ৬৯,৭২৪ জন সক্রিয় রোগী।
এক কৃষক নেতা বলেন যে তারা মনে করেন লকডাউনে করে গরিব মানুষের ক্ষতি ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কিছু লাভ হয়না। কৃষক মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা বলেন যে “স্বাস্থ্য-সুরক্ষা না দিয়ে লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, তিনি আগে দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করুন”।
বহু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, লকডাউনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। অন্যদিকে আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, দিল্লির করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে সরকারি অপদার্থতায়। এর জন্য কৃষক আন্দোলনকে দায়ী করা চলে না। তাদের মতে, পঞ্জাবের গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, লকডাউন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
পঞ্জাবে পুওপুরি লকডাউন ঘোষিত হয়নি। ১০০টি জায়গায় ‘লকডাউনের মতো’ কড়াকড়ি জারি হয়েছে। তবে কৃষকরা কোভিডের জন্য আন্দোলন থামাতে রাজি নন। পঞ্জাবে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভের দিন তারা নিজেদের পরিকল্পনা মতো প্রতিবাদ করেছেন, যদিও তাদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
অন্যদিকে ধানকাটার মরশুমের জন্য সিংঘু সীমান্তে এখন কৃষকের সংখ্যা বেশ কম। যদিও টিকরি সীমান্তে এখনও ১৭০০০ কৃষক রয়েছেন। তারা কোভিড-বিধি মেনেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
১২ মে-র মধ্যে অধিকাংশ ফসল বিক্রি শেষ করে পঞ্জাবের কৃষকরা আবার বড়ো সংখ্যায় দিল্লি সীমান্তে জড়ো হবেন বলে জানা গেছে।