পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: বর্তমানে মহারাষ্ট্র প্রায় লকডাউনের আওতায়। জনসাধারণকে বলা হচ্ছে বাড়ি থেকে না বেরতে। প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখে ২০২০ সালে দেশে পরিকল্পনাহীন জাতীয় লকডাউন চাপিয়ে দেওয়ার কথা মনে পড়ছে অনেকেরই।
কর্মহীন বেকার শ্রমিকরা আবার তাদে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাচ্ছেন। ২০২০ সালে অপরিকল্পিত লকডাউন ঘোষণার ফলে তারা কোন রেল পরিষেবা না পেয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন, অনেকে পথেই মারা গিয়েছেন। এবারের পার্থক্য শুধু এটাই যে এখনও মহারাষ্ট্রে রেল পরিষেবা অব্যাহত ও শ্রমিকরা তাতেই নিজেদের বাড়ি ফিরছেন।
মহেশ উদিয়ার বলে একজন অটো চালক বলেন, যে তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে যাচ্ছেন কাজের জায়গা ছেড়ে। কারণ লকডাউনে অটো চলাচল বন্ধ থাকবে ও অটো মালিক তাকে মাইনেও দেবে না, তাই এখানে থেকে আপাতত কোন লাভই নেই।
যদিও মহারাষ্ট্রের সরকার শ্রমিকদের অনুরধ করছে ফিরে না যেতে, তারা বলছেন তারা শ্রমিকদের সমস্ত সুবিধে দেবে, খাবার ও রেশন পর্যাপ্ত পরিমান দেবে সাথে দেবে মাসিক ১৫০০ টাকা। কিন্তু মহারাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেও কোনো কাজ হয়নি, শ্রমিকরা দলে দলে নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য বেরিয়ে পড়েছেন।
কর্ণাটকের থেকে আসা রুদ্রনাথ গাউদা পাটিল থান একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। ডেলিভারি পরিষেবা ছাড়া বাকি রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলি এখন বন্ধ থাকার ফলে রুদ্রনাথকে তার মালিক বাড়ি ফিরে যেতে বলে ও সব ঠিকঠাক হয় গেলে আবার তাকে ডেকে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
রুদ্র বলেন “এখানে ১৫ দিন বেকার বসে থেকে কী করবো? বাড়ি ফিরে গেলে অন্তত দাদার সাথে চাষের কাজে সাহায্য করতে পারব। এই লকডাউন ১৫ দিনের জন্য ডাকা হলেও এটা ১৫ দিনের ব্যাপার নয় তা বোঝাই যাচ্ছে”।