Home খবর অতিমারির জেরে স্বাস্থ্য-শিক্ষায় পিছিয়ে পড়বে ভারতের সাড়ে ৩৭ কোটি শিশু
0

অতিমারির জেরে স্বাস্থ্য-শিক্ষায় পিছিয়ে পড়বে ভারতের সাড়ে ৩৭ কোটি শিশু

অতিমারির জেরে স্বাস্থ্য-শিক্ষায় পিছিয়ে পড়বে ভারতের সাড়ে ৩৭ কোটি শিশু
0

পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: ওরা অতিমারি প্রজন্ম। ওরা সাড়ে সাইত্রিশ কোটি ভারতীয় শিশু(নবজাতক থেকে ১৪ বছর বয়সি)। অতিমারিজনিত লকডাউনের জেরে ওদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে। কমে যাবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা , বৃদ্ধি পাবে শিশু মৃত্যুহার, এছাড়াও পড়াশোনা এবং কাজের উৎপাদনশীলতার ক্ষয়ক্ষতি হবে ব্যাপক। এমনটাই জানা গেছে চলতি বছরের বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্রের (সিএসই) প্রকাশিত পরিবেশের অবস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে।

অতিমারির জেরে দুনিয়ার বহু শিশুকে স্কুলের গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। তাদের অর্ধেকই ভারতে থাকে।

সিএসইর মহাপরিচালক সুনীতি নারায়ণ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কোভিড -১৯ বিশ্বকে দরিদ্রতম করে তুলেছে। ১১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ অতিমারির ফলে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে – এবং তাদের বেশিরভাগ মানুষই দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করে।”

সুস্থায়ী উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত ১৯২ টি দেশের মধ্যে ১১৭ তম স্থান অর্জন করেছে এবং এই সূচকে পাকিস্তান বাদে এইমুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই পিছিয়ে রয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের বায়ু, জল এবং ভূমি আরও দূষিত হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মতে দেশের ৮৮ টি বড়ো বড়ো শিল্পাঞ্চল জল, বায়ূ ও পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। মহারাষ্ট্রের তারাপুর সবচেয়ে দূষিত স্থান হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

সিএসই বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের তরফে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

দেশে বনভূমির চরিত্র পরিবর্তন হয়েই চলেছে। ২০১৯ সালে ২২ টি রাজ্যের ১১,০০০ হেক্টরে্রও বেশি বনভূমির চরিত্র পাল্টানো হয়েছিল। নিষিদ্ধ অঞ্চলে আটটি কয়লা প্রকল্প  অঞ্চলে ছাড়পত্র পেয়েছে, যাতে ১৯,৬১৪ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হবে এবং ১ লক্ষ গাছ কেটে ফেলা হবে ও ১০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে উচ্ছেদ করবে।

২০১৫ সালে ভারতে বায়ু দূষণের কারণে ছয় কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এর ফলে দেশের জিডিপির ১.৩৬ শতাংশ ক্ষতি হয়।

Share Now:

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *