পিপলস ম্যাগাজিন ডেস্ক: চলমান কৃষক আন্দোলনের যাবতী খবরাখবর প্রকাশের জন্য একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। নাম ‘কিষান একতা মোর্চা’। রবিবার হঠাৎ করে পেজটি ব্লক করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় কয়েক ঘণ্টা তুমুল হইচইয়ের পর পেজটি ফেরত এসেছে। কিন্তু কতদিন থাকবে, তা নিশ্চিত নয়।
পেজটি বন্ধ করার পেছনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যে যুক্তি দিয়েছেন, তা হল, ‘ভুলভাল খবর ছড়ানো রুখতে ফেসবুকের বিধিনিয়ম রয়েছে’, পেজটি তার বিরোধী।
কিষান একতা মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জনগণ যখন কোনো বিষয়ে সরব হয়েছে ওঠে, তখন তাদের মতাদর্শগত ভাবে পরাজিত করতে না পেরে, ওরা এভাবেই কণ্ঠরোধ করতে চায়’।
রাত ১০টার একটু আগে পেজটি ফেরত আসে।
ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আনুগত্য নিয়ে অভিযোগের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটল। গত ১৪ ডিসেম্বর দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে বলা হয়- রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কারণে ফেসবুক বজরং দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায়নি। সংস্থার কর্মীদের নিরাপত্তাও এক্ষেত্রে তাদের চিন্তায় রেখেছিল। সনাতন সংস্থা এবং শ্রীরাম সেনার আরও দুটি দক্ষিণপ্নথী সংগঠনের নিষেধাজ্ঞা না চাপানোরও পরামর্শ দিয়েছিল তাদের নিরাপত্তা বিভাগ।
এগুলি সবই কোনো না কোনো ভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে জড়িত সংগঠন। অর্থাত সংঘ পরিবারের অংশ। সকলেই জানেন, আরএসএস, বিজেপির মতাদর্শগত পথ নির্দেশক সংগঠন।
গত আগস্টে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যা থেকে জানা যায়, ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস, বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত উস্কানিমূলক পোস্ট ব্লক না করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তাতে ভারতের মতো বি্শাল বাজারে তাদের ‘বাণিজ্যিক স্বার্থ’ লঙ্ঘিত হতে পারে। এই খবরের পর ব্যাপক আলোড়ন হয়। গত ২৭ অক্টোবর আঁখি দাস পদত্যাগ করেন।
অভিযোগ আরও আছে। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে বিজেপি তাদের বিরোধী ৪৪টি পেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তার মধ্যে ১৪টিকে ফেসবুক ব্লক করে দেয়। গত আগস্টে জানা যায়, তার আগের দেড় বছরে ফেসবুককে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
Congratulation